ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

শোকের মাসে চাঁদাবাজি করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না: কাদের

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৪ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০২০
শোকের মাসে চাঁদাবাজি করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না: কাদের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

ঢাকা: শোকের মাসে বঙ্গবন্ধুর নাম ভাঙিয়ে কেউ চাঁদাবাজি বা অনিয়ম করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, শোকের মাস আগস্ট শুরু হচ্ছে।

এ শোকের মাসে বঙ্গবন্ধুর নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি করা যাবে না। কেউ চাঁদাবাজি বা অনিয়ম করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।  

শুক্রবার (৩১ জুলাই) রংপুর সড়ক জোন, বিআরটিসি ও বিআরটিএ’র কর্মকর্তাদের সঙ্গে শেষ মুহূর্তের ঈদ প্রস্ততি বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় ওবায়দুল কাদের এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। সেতুমন্ত্রী সংসদ ভবন এলাকায় তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মতবিনিময় সভায় যুক্ত হন।  

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের শতভাগ মাস্ক পরিধান ও স্বাস্থ্যবিধি মানাসহ সর্বোচ্চ মাত্রায় সচেতনতা অবলম্বনের অনুরোধ জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, ঈদ ও শোকের মাস এলে একধরনের মৌসুমি চাঁদাবাজের দৌরাত্ম বেড়ে যায়। শেখ হাসিনা সরকার চাঁদাবাজির ব্যাপারে স্পষ্টতই কঠোর অবস্থানে। বঙ্গবন্ধুর নামে কাউকে অনিয়ম করতে দেওয়া যাবে না।  

সেতুমন্ত্রী বিআরটিসিকে লাভবান করতে অনিয়মের দুষ্টক্ষত থেকে প্রতিষ্ঠানটিকে বের করে আনার জন্য সংশ্লিষ্ট সব কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।  

দুঃখ করে তিনি বলেন, বিআরটিসিকে লাভবান করতে সরকার একের পর এক পদক্ষেপ নেওয়া সত্ত্বেও এ প্রতিষ্ঠানটি লোকসানের বৃত্তে ঘোরপাক খাচ্ছে।

বিআরটিসির সেবার মান বৃদ্ধি ও অনিয়ম বন্ধ করতে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের সঙ্গে সমন্বয় করে রুট পরিচালনারও নির্দেশ দেন সেতুমন্ত্রী।

তিনি বলেন, রংপুর বিআরটিএ’র বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ আছে। আমার কাছেও অভিযোগ আছে। দালালদের দৌরাত্ম বন্ধ করতে হবে। কাউকে ছাড়া হবে না।

ওবায়দুল কাদের ঈদে ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক করতে এবং মলমপার্টি ও অন্য দুর্বৃত্তদের হাত থেকে যাত্রীদের রক্ষা করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও তৎপর হওয়ার নির্দেশ দেন।

তিনি বলেন, এবারের ঈদে সরকার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করার নির্দেশ দিয়েছে। প্রত্যেকে নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করে সরকারের দায়িত্ব পালন করতে হবে। এবার ভিন্ন প্রেক্ষাপটে ঈদ হচ্ছে। একদিকে করোনা ভাইরাস আরেক দিকে বন্যা। এজন্য কারো কাজে শৈথিল্য দেখানো যাবে না। প্রয়োজনে ঈদের দিনও কাজ করতে হবে। ঈদ শেষে ফেরার পর সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সতর্ক থাকতে হবে। সংশ্লিষ্টদের রেঞ্জ পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ ও জেলা পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করার আহ্বান জানান তিনি।

সেতুমন্ত্রী বলেন, এবারের ঈদে মহাসড়কে যান চলাচলে মেজর সমস্যা হচ্ছে না। যানজট তৈরি হয়নি। পদ্মায় পানি বাড়ার কারণে ফেরি পারাপারে দেরি হচ্ছে। এ কারণে ঘাটে যানবাহনকে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। আশা করছি, এবারের ঈদ স্বস্তিদায়ক হবে।  

রংপুর এলাকার সড়ক অবকাঠামো উন্নয়নকে শেখ হাসিনা সরকার গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সাসেক-২ এর পাশাপাশি আরও কয়েকটি সড়ক চার লেনে উন্নীতকরণে প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।

মহাসড়কসমূহ সার্বক্ষণিক চলার উপযোগী রাখার নির্দেশ দিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, সড়কে গর্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মেরামত করতে হবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৬ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০২০, আপডেট: ১৫১৯ ঘণ্টা
এসকে/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।