ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

শিক্ষার্থীদের সনদ ডাস্টবিনে ফেলে দেয়ার ঘটনায় শাস্তি দাবি

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৭ ঘণ্টা, জুলাই ৩, ২০২০
শিক্ষার্থীদের সনদ ডাস্টবিনে ফেলে দেয়ার ঘটনায় শাস্তি দাবি ফাইল ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: শিক্ষার্থীদের মালামাল ও সার্টিফিকেট নষ্টের ঘটনায় জড়িত মেস মালিকদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট।

শুক্রবার (৩ জুলাই) সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের ঢাকা নগর শাখার সভাপতি রাফিকুজ্জামান ফরিদ ও সাধারণ সম্পাদক অরূপ দাস শ্যাম এক যুক্ত বিবৃতিতে এ দাবি জানান।

নেতৃবৃন্দ বলেন, সারা বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারির যে প্রকোপ চলছে, বাংলাদেশও তার বাইরে নয়।

এই সংকটের ফলে ১৮ মার্চ থেকে সকল শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। ফলে শিক্ষার্থীরা হল এবং মেস ছেড়ে বাড়ি চলে যান। সারাদেশে প্রায় ৫০ লাখ শিক্ষার্থী আছেন যারা মেস, সাবলেট, হল ভাড়া করে থাকেন। এর মধ্যে ৫-৭ লাখ শিক্ষার্থী ঢাকায় মেস-সাবলেট করে থাকেন এবং তাদের জীবিকার প্রধান উৎস হলো টিউশন। কিন্তু বর্তমানের করোনা সংকটের কারণে শিক্ষার্থীদের টিউশন নেই। ফলে টিউশন না থাকায় ছাত্ররা ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছেন। আবার হঠাৎ করে লকডাউন হওয়ায় অনেক ছাত্র বাড়ি যেতে পারেননি। ফলে তারা খেয়ে-না খেয়ে দিন কাটাচ্ছে। এই অবস্থায় বাসার মালিকেরা বাসাভাড়ার জন্য ক্রমাগত চাপ দিয়ে যাচ্ছেন।

নেতারা বলেন, সর্বশেষ আমরা দেখলাম গতকাল বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে এসেছে ৩৫ হাজার টাকার জন্য ৮ জন শিক্ষার্থীর সনদপত্র ডাস্টবিনে ফেলে দিয়েছেন ধানমন্ডি এলাকার এক মেস মালিক। এছাড়া পূর্ব রাজাবাজার এলাকার একটি মেসে প্রায় ১৩০ জন শিক্ষার্থীর মালামাল ডাস্টবিনে ফেলে দিয়েছেন মেসের কেয়ার টেকার। মেস মালিকরা কতটা অমানবিক হতে পারে! অথচ এই সময়ে সবচেয়ে প্রয়োজন ছিলো মানুষ হিসেবে মানুষের পাশে দাঁড়ানো। অপরদিকে রাষ্ট্রের দায়িত্ব ছিলো শিক্ষার্থীদের এই সংকটে পাশে দাঁড়ানো। কিন্তু এই বিষয়ে আমরা এখন পর্যন্ত রাষ্ট্রকে কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখিনি।

শিক্ষার্থীদের সংকট নিরসনে মেস ভাড়া মওকুফে রাষ্ট্রীয় প্রজ্ঞাপন জারি এবং শিক্ষার্থীদের হয়রানি ও মালামাল, সার্টিফিকেট নষ্টের ঘটনায় জড়িত মেস মালিকদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৩, ২০২০
এসকেবি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad