ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

‘সৎ-শিক্ষিতদের জনপ্রতিনিধি হিসেবে নিয়ে আসুন’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৪ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০২০
‘সৎ-শিক্ষিতদের জনপ্রতিনিধি হিসেবে নিয়ে আসুন’

ঢাকা: রাজনৈতিকদের গালাগাল না দিয়ে শিক্ষিত এবং বিশ্বাসযোগ্য ব্যক্তিদের জনপ্রতিনিধি হিসেবে নিয়ে আসতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

জনপ্রতিনিধির পদগুলোকে সম্মান না দিলে সৎ, শিক্ষিত, বিশ্বাসযোগ্য মানুষ আসতে উৎসাহ পাবে না উল্লেখ করে তাজুল ইসলাম বলেন, সম্মান দিয়ে জনপ্রতিনিধি হিসেবে গ্রহণযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্যদের নিয়ে আসতে হবে। জনপ্রতিনিধিদের চোর বা অন্য কিছু গালাগাল দিলে হবে না।

সম্মান দিয়ে চেয়ারম্যান-মেম্বারসহ জনপ্রতিনিধির পদগুলোতে আরও বেশি  শিক্ষিত ও ক্রেডিবল লোকদের নিয়ে আসতে হবে।

করোনাকালীন সংকট নিয়ে বিশেষ ওয়েবিনার ‘বিয়ন্ড দ্য প্যানডেমিক’-এর সপ্তম পর্বে  ‘জনস্বাস্থ্য ও স্থানীয় সরকার’ শীর্ষক আলোচনায় সভায় অংশ নিয়ে মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

শনিবার (২৭ জুন) রাতে আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) আয়োজিত এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

 

 

প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার শাহ আলী ফরহাদের সঞ্চালনায় এতে আলোচক হিসেবে আরও ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান (লিটন), নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী, ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক টিটু।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, সামাজিক যে অবক্ষয় হয়েছে; রাজনীতিটা কিন্তু তার আঘাত থেকে মুক্ত থাকেনি। রাজনীতিও এই অবক্ষয়ে আঘাত প্রাপ্ত হয়েছে। সেই জায়গাটাতে আমাদের জনপ্রতিনিধি হিসেবে আরও বেশি শিক্ষিত ও বিশ্বাসযোগ্য লোকদের নিয়ে আসতে হবে।

তাজুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে এত বড় ত্রাণ বিতরণ আর হয়নি। বিচ্ছিন্নভাবে যেসব অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে তাদের বিরুদ্ধে কিন্তু ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আমাদের বেশির ভাগ জনপ্রতিনিধি কিন্তু সততার সঙ্গে কাজ করেছে। জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন সেক্টরে আমরা যদি সৎ লোকদের বসাতে পারি তাহলে বাংলাদেশ আরও দ্রুত উন্নত হবে। জনপ্রতিনিধিরা নির্বাচিত হন জনগণের কল্যাণে কাজ করার জন্য। সে ভাবে কাজ করতে হবে।

জনপ্রতিনিধিরা ঝুঁকি নিয়ে মানুষের কল্যাণে কাজ করছেন জানিয়ে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, যখন করোনা বাংলাদেশকে বিপর্যস্ত করে তুললো তখন এই জনপ্রতিনিধিরাই গ্রামে গঞ্জে ঘুরে ঘুরে মানুষের প্রয়োজনে পাশে দাঁড়িয়েছে, অসহায় মানুষের মাঝে দিন রাত খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিয়েছে।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, সামাজিক পরিবর্তনের জন্য এবং মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য যে প্রতিষ্ঠানটি সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ দ্বায়িত্ব পালন করতে পারে সেটা স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাপনা। যদি জনপ্রতিনিধিদের তাদের স্বীয় দ্বায়িত্বটি পালনের জন্য আমরা সক্ষম করে গড়ে তুলতে পারি তাহলে সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশকে ব্যপক উন্নতি করা অসম্ভব কিছু না।

জনপ্রতিনিধিদের প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন মন্ত্রী। এক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধিদের প্রশিক্ষণ ইনিস্টিটিউটকে সক্রিয় করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৩ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০২০
এমইউএম/এইচএডি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।