ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

রাষ্ট্রপতির ক্ষমা পাওয়া ১৪ আ’ লীগ নেতা-কর্মীর গণসংবর্ধনা

আল মামুন, জেলা প্রতিনিধি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৫১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৯, ২০১০
রাষ্ট্রপতির ক্ষমা পাওয়া ১৪ আ’ লীগ নেতা-কর্মীর গণসংবর্ধনা

নাটোর: রাষ্ট্রপতির সাধারণ ক্ষমায় মুক্ত নাটোরের চাঞ্চল্যকর গামা হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ২০ আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীর ১৪ জনকে নাটোরে গণসংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকালে জেলার নলডাঙ্গা থানার আমতলী স্কুল মাঠে থানা আওয়ামী লীগ এ গণসংবর্ধনার আয়োজন করে।

থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইউনুস আলী মাস্টারের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আহাদ আলী সরকার।

এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাজেদুর রহমান খান, সাধারণ সম্পাদক হানিফ আলী শেখসহ নেতা-কর্মীরা।
 
আহাদ আলী সরকার বলেন, ‘গামাকে হত্যার পর নিষিদ্ধ পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টি (লাল পতাকা) হত্যার দায় শিকার করলেও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়। ’

তিনি অভিযোগ করে বলেন, মামলাটি নাটোরের আদালতে চলার সময় বিগত চার দলীয় জোট সরকারের সাবেক উপমন্ত্রী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু মামলাটি ঢাকার একটি আদালতে স্থানান্তর করেন। শুধু তাই নয়, বিচারককে প্রভাবিত করে আওয়ামী লীগের ২০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে ফাঁসির আদেশের ব্যবস্থা করেন।

রাষ্ট্রপতির ক্ষমা ঘোষণায় দলীয় পক্ষপাতিত্ব নেই জানিয়ে আহাদ আলী সরকার বলেন, এ ক্ষমা প্রক্রিয়ায় আমি বা স্থানীয় আওয়ামী লীগ জড়িত নয়। অভিযুক্তরা রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করলে রাষ্ট্রপতি নিজেই তাদের ক্ষমা করেছেন।

মুক্তি পাওয়া নলডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম ফিরোজ বলেন, ‘শুধুমাত্র রাজনৈতিক হয়রানির উদ্দেশ্যেই আমাদের এ মামলায় জড়ানো হয়েছিল। সাজানো স্বাক্ষীর মাধ্যমে মামলা পরিচালনা করা হয়েছে। ’
 
২০০৪ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি সাবেক উপমন্ত্রী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর ভাতিজা সাব্বির আহমেদ তালুকদার গামাকে তার গ্রামের বাড়ি নলডাঙ্গা থানার রামশার কাজীপুর কামারপাড়া বাজারে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।

এ ঘটনার পরদিন নিহতের বাবা রফিকুল ইসলাম থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম ফিরোজসহ ১৬ জনের নামে ও অজ্ঞাত ১৫/১৬ জনকে আসামি করে মামলা করেন। পুলিশ ২১ জনকে অভিযুক্ত করে ওই বছরের ১৫ জুন অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করে।

পরে ২০০৬ সালের ২৪ আগস্ট ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক ফিরোজ আলম অভিযুক্ত ২১ জনকেই মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন।

এরপর দীর্ঘ দিন মামলাটি উচ্চ আদালতে ঝুলে থাকা অবস্থায় সম্প্রতি পলাতক আসামি আকবর আলী ছাড়া কারাগারে অভিযুক্ত অবশিষ্ট ২০ জনের আবেদনের প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপতি তাদের মা ঘোষণা করেন।

এদের মধ্যে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান এস এম ফিরোজ, আনিসুর রহমান আনসার, ফয়সাল, সেন্টু, শাজাহান, জাহেদুল, বাদল, ফজলুল হক শাহ, ফারুক ও আব্দুল জলিল।

সেইসঙ্গে রাজশাহী কারাগারে আটক ১০ জনের মধ্যে মুক্তি পান চারজন। এরা হলেন জহুরুল শাহ, ফরমাজুল হক, সোহাগ শাহ ও বাবলু।

বাকি ৬ জনের বিরুদ্ধে অন্য মামলা থাকায় তারা মুক্তি পাননি। এরা হচ্ছেন- সাজ্জাদ, আবুল, আতাউর, আশরাফ, ফকর উদ্দিন এবং ওহিদুর।

বাংলাদেশ সময়: ২২২৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।