ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

আওয়ামী লীগ

এমপির পিএসকে হত্যার হুমকি, থানায় জিডি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩০ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০২০
এমপির পিএসকে হত্যার হুমকি, থানায় জিডি

পিরোজপুর: পিরোজপুর-৩ আসনের এমপি’র (মঠবাড়িয়া) ব্যক্তিগত সহকারীকে (পিএস) হত্যার হুমকির অভিযোগে থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।

বুধবার (২৭ মে) বিকেলে মঠবাড়িয়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান সিফাতের বিরুদ্ধে থানায় ওই সাধারণ ডায়েরি করেছেন স্থানীয় এমপি ও সংসদীয় সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ডাক্তার রুস্তুম আলী ফরাজীর ব্যক্তিগত সহকারী হাসান মিয়া।

ওই সাধারণ ডায়েরি সূত্রে জানা যায়, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক বুধবার (২৮ মে) মঠবাড়িয়ার মাছুয়ায় যাওয়ার কালে তাকে গ্রহণ করতে প্রস্তুতি করছিলেন এমপির পিএস হাসান মিয়া।

ওইদিন দুপুর ২টার দিকে ঝাউতলা বসে ওই উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান এমপির পিএসকে দেখা মাত্র উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ (ইউএনও) অন্যদের উপস্থিতিতে নানা ধরনের হুমকি দেন। পরে প্রতিমন্ত্রী কর্মসূচি থেকে ফেরার পথে আবারও এপিএস হাসান মিয়াকে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অকথ্য ভাষায় গালাগালি ও খুন-জখমসহ দেখিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন।

এ অভিযোগের বিষয় জানতে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের ব্যবহৃত মোবাইলে কথা হলে তিনি এমন অভিযোগ অস্বীকার করে বাংলানিউকে জানান, এমপির পিএস’র সঙ্গে আমার কোনো ঝামেলা হয়নি। স্থানীয় এমপির সঙ্গে স্থানীয়  আওয়ামী লীগের বিরোধ রয়েছে। তাই এমপির ইন্দনে তার পিএস এমন অভিযোগ করতে পারে।

এ সময় সেখানে থাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঊর্মি ভৌমিক বাংলানিউজকে জানান, ঝাউলতলা বসে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান গালাগালি করেছেন। তবে কাকে করেছেন তা তিনি (ইউএনও) খেয়াল করেননি। পরে এমপির ব্যক্তিগত সহকারীর মাধ্যমে জানতে পান তাকে (এপিএস) গালাগালি করা হয়েছে।

মঠবাড়িয়া থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মাসুদুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, এমন ঘটনার অভিযোগে একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, ওই উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি ওই উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিনের আহম্মেদের পক্ষের লোক। স্থানীয় (পিরোজুপর-৩)এমপি রুস্তুম আলী ফরাজী জাতীয় পার্টির (এরশাদ) কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান। আর ওই এমপির সঙ্গে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হওয়া ওই উপজেলা চেয়ারম্যানের সঙ্গে বিরোধ রয়েছে। এর আগে ওই ভাইস চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এমপি’র গাড়িতে হামলা ও তাকে (এমপি) নিয়ে ফেসবুকে কটুক্তি করে লেখার অভিযোগ রয়েছে। এ উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুটি গ্রুপ রয়েছে। এর একটিতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ওই উপজেলার আওয়ামী লীগ সভাপতি ও পৌর মেয়র রফিউদ্দিন আহম্মেদ ফেরদাউস ও অন্য গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদের ছোট ভাই ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আশ্রাফুর রহমান। ওই ভাইস চেয়ারম্যান আশ্রাফুর রহমানের চাচাতো ভাইয়ের ছেলে। স্থানীয় আওয়ামী লীগের বিরোধের জের ধরে যুবলীগ নেতা লিটন পন্ডিত ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জনি তালুকদার খুন হয়েছেন। ওই দুই মামলায় পৌর মেয়র রফিউদ্দিন আহম্মেদ ফেরদাউসকে আসামি করা হয়েছিলো।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৩ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০২০
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।