ঢাকা, সোমবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

নির্বাচন প্রত্যাখ্যান, পুনঃনির্বাচন দাবি ঐক্যফ্রন্টের

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৮
নির্বাচন প্রত্যাখ্যান, পুনঃনির্বাচন দাবি ঐক্যফ্রন্টের সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন ড. কামাল হোসেন/ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: দেশের প্রায় সব আসন থেকেই একই রকম ভোট ডাকাতির খবর এসেছে দাবি করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রধান ড. কামাল হোসেন বলেছেন, এ পর্যন্ত বিভিন্ন দলের শতাধিক প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করেছেন। এ অবস্থায় আমরা নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, অবিলম্বে এ প্রহসনের নির্বাচন বাতিল করা হোক। এ নির্বাচনের কথিত ফলাফল আমরা প্রত্যাখ্যান করছি এবং সেই সঙ্গে নির্দলীয় সরকারের অধীনে পুনঃনির্বাচন দাবি করছি।

রোববার (৩০ ডিসেম্বর) দিনব্যাপী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষে রাত ৮টার দিকে বেইলি রোডের বাসায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. কামাল বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও নির্বাচন কমিশনের দেওয়া আশ্বাস ও প্রতিশ্রুতির ওপর বিশ্বাস করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট অতীতের শত তিক্ত ও ভয়াবহ অভিজ্ঞতা সত্ত্বেও অনেক আশা নিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়।

আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছিল, তফসিল ঘোষণার পরে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী, নেতা-কর্মীদের হয়রানি করা হবে না। মিথ্যা ও গায়েবি মামলা দায়ের কিংবা গ্রেফতার করা হবে না।  

ঐক্যফ্রন্টের এ শীর্ষ নেতা বলেন, তফসিল ঘোষণার পর থেকে আওয়ামী সন্ত্রাসী বাহিনীর দেশব্যাপী ব্যাপক হামলায় ১৭ প্রার্থী আহত এবং প্রায় ১৪ হাজার নেতা-কর্মী ও সমর্থক আহত হন। পাইকারী হারে মিথ্যা ও গায়েবি মামলা দিয়ে প্রায় ১১ হাজার নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ১৮ জন প্রার্থী কারাগারে থেকে নির্বাচন অংশগ্রহণ করেছেন।

তিনি বলেন, রোববার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দেওয়ার জন্য সমগ্র দেশবাসী যখন প্রস্তুত, তখনই আমরা দেশের বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকা থেকে একের পর এক খবর পাই যে গতকাল রাতেই আওয়ামী দুর্বৃত্তরা এবং নির্বাচনের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের সহায়তায় নৌকা মার্কায় সিল মেরে বাক্সে ভরে রাখে। ঠাকুরগাঁওসহ দেশের বেশকিছু কেন্দ্র থেকে খবর এসেছে যে, বেশ কয়েকটি কেন্দ্রের বুথ তালা মেরে রাখা হয়েছে। সকাল থেকেই খবর আসছিল, দেশের প্রায় সব কেন্দ্র থেকেই ধানের শীষের এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। কোথাও তাদের মারধর করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারও তার নিজ কেন্দ্রে ভোট দিতে গিয়ে ধানের শীষের কোনো এজেন্ট পাননি। তাই তিনি আক্ষেপ করে বলেছেন, ‘আমার একার পক্ষে করার কিছু নেই। ’

নির্বাচন কমিশন আপনাদের পুনঃনির্বাচনের দাবি মেনে না নিলে পরবর্তী কর্মসূচি কী হবে এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সেটা আমরা পরবর্তীতে বৈঠকে বসে ঠিক করবো। সোমবার জানাবো।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, পুরো নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করছি। এটি নির্বাচন নয় প্রহসন। অনেকে বলেছে, ২০১৪ সালে আমরা নির্বাচনে না গিয়ে ভুল করেছিলাম। এ নির্বাচন প্রমাণ করছে, ২০১৪ সালে নির্বাচন না যাওয়াটা সঠিক ছিলো। দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসীন মন্টু, নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, জগুলুল হায়দার আফ্রিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০১১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৮
এমএইচ/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।