ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

আওয়ামী লীগ

বিদেশ যাত্রা বিএনপি নেতাদের রাজনীতির দৈন্যতা: ড. হাছান

পলিটিক্যাল ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৮
বিদেশ যাত্রা বিএনপি নেতাদের রাজনীতির দৈন্যতা: ড. হাছান প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির নিয়মিত বৈঠকে বক্তব্য রাখেন ড. হাছান মাহমুদ

ঢাকা: বিএনপি নেতাদের বিদেশ যাত্রা তাদের রাজনীতির দৈন্যতারই বহিঃপ্রকাশ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং দলের অন্যতম মুখপাত্র ড. হাছান মাহমুদ।

বৃহস্পতিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ের নতুন ভবনে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির নিয়মিত বৈঠক শেষে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা রাজনীতি করি জনগণের জন্য।

আমাদের কোনো বক্তব্য বা অভিযোগ থাকলে তা আমরা জনগণকে বলি। বিএনপি জাতিসংঘে যাওয়ার মাধ্যমে এটিই প্রমাণ করেছে বাংলাদেশের মানুষের ওপর তাদের কোনো আস্থা নাই। তারা (বিএনপি) নালিশ দেশের জনগণকে না দিয়ে বিদেশে গিয়ে বিদেশিদের কাছে উপস্থাপন করছে। এটি তাদের রাজনীতির দৈন্যতারই বহিঃপ্রকাশ এবং জনগণের ওপর তাদের আস্থাহীনতারই বহিঃপ্রকাশ।

তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার সুবিধার্থে কারা অভ্যন্তরে যে আদালত স্থাপন করা হয়েছে। সেখানে তিনি বুধবার (১২ সেপ্টেম্বর) হাজির হননি। অথচ এ মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা ছিল আরও ছয় মাস আগে। কিন্তু খালেদা জিয়া ও তার আইনজীবীরা তার অসুস্থতার অজুহাত দেখিয়ে তাকে আদালতে হাজির করেননি। প্রকৃতপক্ষে দেশের আইন ও আদালত খালেদা জিয়া, বিএনপি এবং তাদের আইনজীবী প্যানেল প্রচণ্ডভাবে হেনস্তার শিকার। আমরা আশা করব বিএনপি দেশের আইন এবং আদালতকে সমুন্নত রাখার ক্ষেত্রে কাজ করবে। ’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের এ মুখপাত্র বলেন, ‘কর্নেল তাহেরের বিচার এবং খালেদা জিয়ার জন্য আদালত স্থাপন দু’টি ভিন্ন। কর্নেল তাহেরের বিচার হয়েছিল ক্যামেরা ট্রায়াল। জনসাধারণের প্রবেশ সেখানে নিষিদ্ধ ছিল এমনকি সাংবাদিকদেরও সেখানে প্রবেশাধিকার ছিলো না। প্রকৃতপক্ষে সেটি গোপন বিচার করা হয়েছিল। আর খালেদা জিয়াকে যেখানে রাখা হয়েছে তার কাছাকাছি একটি পরিত্যক্ত ভবনে তার সুবিধার্থে আদালত স্থাপন করা হয়েছে। সেটি একটি ওপেন আদালত যেখানে আইনজীবী, সাংবাদিকসহ সবাই যেতে পারেন। ’

তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়াকে যেই ভবনে রাখা হয়েছে সেই ভবনটি পরিত্যক্ত কারাগারের একটি ভবনকে কারাগার ঘোষণা করে রাখা হয়েছে। কিন্তু যেই ভবনে আদালত স্থাপন করা হয়েছে সেটি একটি পরিত্যক্ত ভবন মাত্র কারাগারের কোনো অংশ নয়।

বৈঠক আরও উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিনসহ প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির সদস্যরা।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৮
জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।