ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

আওয়ামী লীগ

মেয়র মোহাম্মদ হানিফের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১৮
মেয়র মোহাম্মদ হানিফের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী প্রয়াত মোহাম্মদ হানিফ

ঢাকা: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ ও স্নেহভাজন, জনতার মঞ্চের রুপকার, ঢাকা সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচিত সফল মেয়র ও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ হানিফের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী। 

রোববার (১ এপ্রিল) প্রয়াত মেয়রের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে তারই ছেলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন।

মোহাম্মদ হানিফের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, মেয়র মোহাম্মদ হানিফ মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন, মেয়র হানিফ স্মৃতি সংসদসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন নানাবিধ কর্মসূচি আয়োজন করেছে।

কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- কবর জিয়ারত, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল, দুস্থঃদের মাঝে খাবার বিতরণ ইত্যাদি। নন্দিত এই নেতার একমাত্র ছেলে মেয়র সাঈদ খোকন বাবার জন্মবার্ষিকীতে দেশবাসীর দোয়া কামনা করেছেন।

মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ১৯৪৪ সালের এই দিনে তিনি পুরাতন ঢাকার সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তার বাবার নাম আব্দুল আজিজ ও মায়ের নাম মুন্নি বেগম।

এক পূত্র এবং ২ কন্যা সন্তানের বাবা হানিফ ১৯৬৭ সালে প্রখ্যাত পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি মাজেদ সরদারের মেয়ে ফাতেমা খাতুনের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।

শুরু থেকে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত মোহাম্মদ হানিফ ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের প্রতি অবিচল। মোহাম্মদ হানিফের সবচেয়ে বড় অর্জন ছিল তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর খুব কাছে থেকেছেন। উদার চিন্তা-চেতনা, প্রখর ব্যক্তিত্ব ও সংবেদনশীলতা এবং তার চারিত্রিক বৈশিষ্ঠের কারনে তিনি সকলের প্রিয় নেতায় পরিনত হন।  

মোহাম্মদ হানিফ ছাত্রাবস্থায় ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী হিসেবে রাজনীতি শুরু করেন। ১৯৬৫ সালে বঙ্গবন্ধুর একান্ত সচিবের দায়িত্ব পান। এসময় ছয়দফা মুক্তি সনদ প্রণয়ন ও প্রচারে বিশেষ ভূমিকা রাখেন। ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতা পরবর্তীকালে সব আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথে প্রথম কাতারে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন মোহাম্মদ হানিফ।  

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মোহাম্মদ হানিফকে অত্যন্ত স্নেহ করতেন ও ভালোবাসতেন। তাই ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু তার ঢাকা-১২ আসন ছেড়ে দেন এবং মোহাম্মদ হানিফ জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে জাতীয় সংসদে হুইপেরও দায়িত্ব পালন করেন তিনি।  

১৯৭৬ সালে হানিফ ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ৩০ বছর তিনি এ দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৯৪ সালে লক্ষাধিক ভোটের ব্যাবধানে ঢাকার প্রথম মেয়র নির্বাচিত হন। তারই নেতৃত্বে  ৯৬-এর মার্চের শেষ সপ্তাহে জনতার মঞ্চ গঠন করেন যা ছিল আওয়ামী লীগের রাজনীতির জন্য একটি টার্নিং পয়েন্ট। ৯৬-এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্ঠি করে আওয়ামী লীগের বিজয়ে ব্যাপক ভূমিকা রাখেন হানিফ।
 
২০০৪ সালে ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর নারকীয় গ্রেনেড হামলার সময় নিজের জীবন তুচ্ছ করে মানবঢাল তৈরি করে শেখ হাসিনার জীবন রক্ষায় প্রাণান্তর চেষ্টা করেন।

২০০৬ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি মুক্তাঙ্গনে এক সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। ব্যাংককে তীব্র যন্ত্রনা ভোগ করে দীর্ঘদিন চিকিৎসা শেষে ঢাকায় ফিরে ২০০৬ সালের ২৮ নভেম্বর রাতে অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকি‍‍ৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬২ বছর।
 
বাংলাদেশ সময়: ০১৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩১, ২০১৮
এসএম/জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।