ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

নির্বাচন

দলগুলোর নিবন্ধন শর্ত যাচাই করবে ইসি

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৭ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০১৭
দলগুলোর নিবন্ধন শর্ত যাচাই করবে ইসি নির্বাচন কমিশন ভবন

ঢাকা: দেশের ৪০টি রাজনৈতিক দল নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন নিয়েছে। কিন্তু ২০০৮ সালে নিবন্ধন নেওয়ার পর থেকে অনেক দলই তাদের হালনাগাদ করা বিভিন্ন তথ্য নির্বাচন কমিশনে দাখিল করেনি। এমনকি কিছু কিছু দল নিবন্ধনের শর্তও মানছে ঠিকমতো। তাই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই দলগুলোর নিবন্ধন শর্ত যাচাইয়ে নামছে ইসি।

সংস্থাটির কর্মকর্তারা বলছেন, নিবন্ধন নেওয়ার সময় দলগুলো কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও জেলা কার্যালয়ের ঠিকানা, নতুন কমিটির তালিকাসহ বেশকিছু তথ্য সময় সময় নির্বাচন কমিশনে দাখিল করবে বলে শর্ত মেনেছিল। কিন্তু বিভিন্ন দল এসব বিষয়ে ইসিকে এখনও কোনো তথ্যই অবহিত করছে না।

যা নিবন্ধনের শর্ত না মানার শামিল। এজন্য নিবন্ধন বাতিলের ক্ষমতাও রয়েছে নির্বাচন কমিশনের।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-১৯৭২ এর ৯০ (বি) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, নিবন্ধন পেতে হলে কোনো দলের একটি কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও একটি কেন্দ্রীয় কমিটি থাকতে হয়। একইসঙ্গে দেশের অন্তত এক তৃতীয়াংশ জেলায় দলীয় কার্যালয় এবং অন্তত একশটি উপজেলায় দুইশ সদস্য থাকতে হয়। যে সদস্যদের আবার সংশ্লিষ্ট এলাকার ভোটার হতে হবে। এই শর্ত পূরণ না করলে কোনো দল নিবন্ধন পাবে না।

পরবর্তীতে যদি এসব তথ্যের কিছু পরিবর্তন হয়ে থাকে, তবে দলগুলো সময় সময় হালনাগাদ তথ্য দেবে বলেই নিবন্ধন নিয়েছে নির্বাচন কমিশন থেকে। কিন্তু ৪০টি দলের মধ্যে অনেক দলেরই বর্তমানে কার্যালয় নেই বলে ইসির পর্যবেক্ষণে এসেছে। তাই এবার সেসব দলের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি।

ইসি সূত্র জানিয়েছে, আগামী অক্টোবর মাসে নতুন দল নিবন্ধনের জন্য গণবিজ্ঞপ্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। একই সঙ্গে পুরনো দলগুলো নিবন্ধনের শর্ত মানছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হবে।

সংস্থাটির উপ-সচিব পর্যায়ের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, বিভিন্ন সময় দলগুলোকে রুটিন চিঠি পাঠানোর সময় দেখা গেছে, নিবন্ধনের সময় যে দলীয় কার্যালয় ছিল, তা আর নেই। ফলে চিঠি ফেরত আসে। অথচ আইন অনুযায়ী, ঠিকানা পরিবর্তন করলে তা ইসিকে জানানোর বিধান আছে।

আবার অনেক দল নিবন্ধন নেওয়ার সময় ইসিকে দেখানোর জন্যই কেবল অস্থায়ী কার্যালয় বসিয়েছিল। যেগুলো এখন আর নেই। অনেকে বাড়িতে বসেই দলীয় কার্যক্রম চালাচ্ছে বলেও তথ্য পেয়েছে নির্বাচন কমিশন।

২০১৮ সালের ২৮ অক্টোবর থেকে ২০১৯ সালের ২৯ জানুয়ারির মধ্যে একাদশ সংসদ নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তাই চলতি বছর অক্টোবর নিবন্ধন সংক্রান্ত কার্যক্রম শুরু করে ২০১৮ সালের মার্চের মধ্যেই সবকিছু গুছিয়ে নেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে নিবন্ধনের শর্ত পূরণ করছে কি না পুরনো দলগুলো, তা খতিয়ে দেখে ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৬ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০১৭
ইইউডি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।