ঢাকা: মামলা দায়েরের ১৮ বছর পর বৃহস্পতিবার শুরু হলো সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদের রাডার ক্রয় সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ।
বিভাগীয় বিশেষ জজ মো. আব্দুল মজিদের আদালতে সকালে স্যা গ্রহণ শুরু হয়।
মামলার বাদী সাবেক দুর্নীতি দমন ব্যুরোর কর্মকর্তা হায়দার আলী আদালতে স্যা দিতে আসেন। কিন্ত তিনি সাীর জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত না থাকায় আদালত আংশিক সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
আদালতে পেশকার রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে জানান, স্যা গ্রহণের জন্য আগামী ২২ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে। বাদীকে আদালতে হাজির করতে এর আগে ১৭ বার সমন ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেও আদালতে আনা যায়নি।
১৯৯২ সালের ৪ মে দুর্নীতি দমন ব্যুরোর পক্ষ হতে এ মামলা দায়ের করা হয়।
বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের পিপি শাহিন আহমেদ খান বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে জানান, মামলার বাদী দুর্নীতি দমন ব্যুরোর কর্মকর্তা হায়দার আলীকে আদালতে হাজির করতে বারবার সমন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তিনি বিভিন্ন জায়গায় বদলি হওয়ায় সঠিক ঠিকানায় সমন পাঠানো সম্ভব হয়নি।
এরশাদ আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে হাজিরা প্রদান করেন। মামলার অপর আসামি সাবেক বিমান বাহিনীর প্রধান সুলতান মাহমুদ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বিমান বাহিনীর প্রধানের সাবেক সহকারী মমতাজ উদ্দিন আহমেদ সময়ের আবেদন করেন।
১৯৯৪ সালের ২৭ অক্টোবর এ মামলার চার্জশিট দাখিল করা হয়।
১৯৯৫ সালের ১২ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়।
হাইকোর্টে নির্দেশে দীর্ঘদিন নিম্ন আদালতের বিচারকার্য স্থগিত ছিল।
২০০৮ সালের ১৫ জুন মামলার বিচারকার্য পুনরায় শুরু হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা নিজেদের মতার অপব্যবহারের মাধ্যমে বেশি দামে রাডার ক্রয় করে সরকারের ৬৪ কোটি ৪ লাখ ৪২ হাজার ৯১৮ টাকা আর্থিক ক্ষতি করে নিজেরা ওই টাকা আত্নসাৎ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১০