ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

আওয়ামী লীগ

প্যাড জালিয়াতি করে জবি ছাত্রলীগের কমিটি!

জবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২, ২০১৭
প্যাড জালিয়াতি করে জবি ছাত্রলীগের কমিটি!

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়: গত তিনদিন ধরে নেতৃত্ব শূন্য অবস্থায় রয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রলীগ। গত ৩০ মার্চ (বৃহস্পতিবার) জবি ছাত্রলীগের সম্মেলনে পূর্বের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ।

এই নেতৃত্ব শূন্য অবস্থার সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে জবি ছাত্রলীগের কমিটি নিয়ে অপপ্রচার করা হচ্ছে। শনিবার (১ এপ্রিল) রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষর, সিল ও প্যাড জালিয়াতি করে জবির কমিটি ঘোষণা করে ফেসবুকে প্রচার করা হয়।

তবে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দফতর সম্পাদক রোববার (০২ এপ্রিল) তার ফেসবুক প্রোফাইলে ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বরাত দিয়ে জবি ছাত্রলিগ কমিটি ঘোষণার খবর উড়িয়ে দেন।

তিনি জানান, যারা বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা কমিটি নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছেন, তাদের বিরুদ্ধে আইসিটি আইনে মামলা করা হবে। চিহ্নিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা কমিটি এখনো ঘোষণা করা হয়নি।

জবি ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, গত চারবছর ধরে জবি ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন শরিফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন সিরাজুল ইসলাম। তাদের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করার পর পদ প্রত্যশীরা নতুন কমিটি ঘোষণার অপেক্ষায় দিন গুণছেন। তবে এ নেতৃত্ব শূন্য অবস্থায় একটি কুচক্রী মহল জবি ছাত্রলীগ নিয়ে অপপ্রচারে নেমেছে। রোববার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে জবি ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে এমন একটি বার্তা দেখা যায়।

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন স্বাক্ষরিত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের একটি প্যাডে এ খবর প্রকাশিত হয়। সেখানে জবি ছাত্রলীগের সদ্য বিদায়ী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুর রহমান জুয়েলকে সভাপতি ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হারুন-অর-রশিদকে সাধারণ সম্পাদক করে পাঁচ সদস্যের কমিটি ঘোষণার কথা প্রচার করা হয়।

এদিকে, এ ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য জবি ছাত্রলীগের একটি কুচক্রী মহলকে দায়ী করেছেন সাইদুর রহমান জুয়েল। তিনি বলেন, জবি ছাত্রলীগের একটি কুচক্রী মহল এ ধরনের বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। যারা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষর জাল করতে পারে, তারা সত্যিকারের ছাত্রলীগের কেউ না।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০১৭
ডিআর/জিপি/টিআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।