ঢাকা: নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে রোববার চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ৬৬তম জন্মদিন উদযাপন করেছে বিএনপি।
শনিবার রাত ১২টা ১ মিনিট থেকেই শুরু হয় তার জন্মদিনের কর্মসূচি।
রাত সাড়ে ১২টায় গুলশান কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর বিএনপি, মহিলা দল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের দেওয়া কেক কেটে নিজের জন্মদিন উদযাপন শুরু করেন খালেদা।
এ সময় তার হাতে ফুলের তোড়া তুলে দিয়ে শুভেচ্ছা জানান মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন। সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ঢাকা সিটি মেয়র সাদেক হোসেন খোকা, যুগ্ম-মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, সালাউদ্দিন আহমেদ, রুহুল কবির রিজভী, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সালাম, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী এমপি, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল প্রমুখ।
এদিকে রোববার বিকেল ৫টায় কেন্দ্রীয় কায়ালয়ে খালেদা জিয়ার জন্মদিন উপলক্ষে বিশেষ দোয়া ও মিলাদ মাহফিল আয়োজন করে ছাত্রদল। ছাত্রদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুসহ সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতারা মিলাদে অংশ নেন।
এছাড়া রাজধানীর এক রেস্তরাঁয় জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন (জিসাস) খালেদা জিয়ার জন্মদিন উপলক্ষে বিশেষ দোয়া ও ইফতার মাহফিল আয়োজন করে। বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদীন ফারুক ও বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন জিসাসের অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
রোববার রাতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কেক কেটে খালেদা জিয়ার জন্মদিন উদযাপন করে যুবদল। বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া ও যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম নীরবসহ বিভিন্ন স্তরের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে রাতে গুলশান কার্যালয়ে বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতারা খালেদা জিয়াকে ফুল দিয়ে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান।
প্রসঙ্গত, খালেদা জিয়া ১৯৪৫ সালে দিনাজপুরে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৯০ সাল থেকে ১৫ আগস্ট জন্মদিন পালন শুরু করেন তিনি। জাতীয় শোক দিবসকে কটাক্ষ করতেই খালেদা জিয়ার এ উদ্যোগ বলে অভিযোগ আছে আওয়ামী লীগের।
জানা গেছে, নির্বাচনের হলনামায় ১৯৪৬ সালের ১৫ আগস্ট তার জন্ম তারিখ হিসেবে উল্লেখ থাকলেও স্বশিক্ষিত শিক্ষাবোর্ডের ফাইলে ৫ সেপ্টেম্বর তার জন্ম বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০১০