ঢাকা, সোমবার, ৩ আষাঢ় ১৪৩১, ১৭ জুন ২০২৪, ০৯ জিলহজ ১৪৪৫

রাজনীতি

অপশক্তিকে পরাজিত করার শপথ নিন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৬
অপশক্তিকে পরাজিত করার শপথ নিন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে অপশক্তিকে পরাজিত করার শপথ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

ঢাকা: স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে অপশক্তিকে পরাজিত করার শপথ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
 
বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।


 
১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
 
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, যে বাংলাদেশের জন্য আমরা যুদ্ধ করেছিলাম, সেই বাংলাদেশ আমরা দেখছি না। ৪৫ বছর পরে সম্পূর্ণ ভিন্ন এক বাংলাদেশ দেখছি। যে স্বপ্ন আমরা দেখেছিলাম, সেই স্বপ্ন ভেঙে খান খান হয়ে গেছে।
 
অদৃশ্যের কী নির্মম পরিহাস। ১৯৭১ সালের ছবিগুলো যদি আমরা দেখি বাংলাদেশে মানুষের বাড়ি-ঘর, গ্রামের পর গ্রাম পুড়িয়ে দিচ্ছে পাকিস্তানের হানাদার বাহিনী। আজকে আবার স্বাধীন দেশের পত্রিকায় আমরা দেখছি, আমাদের সবচেয়ে অসহায়, সব চেয়ে পেছনে পড়ে থাকা আদিবাসী সাওতালদের বাড়ি-ঘর পুড়িয়ে দিচ্ছে বাংলাদেশের পুলিশ বাহিনী, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাছির নগরে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ি ঘর পুড়িয়ে নিঃশ্বেষ করে দেওয়া হচ্ছে এবং সেটা শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনার আমলেই ঘটছে-বলেন বিএনপির মহাসচিব।
 
তিনি বলেন, সেই জন্য আজকে আমাদের তৈরি হতে হবে। বিজয়ের ৪৫ বছর পরে আবার আমাদের নতুন করে শপথ নিতে হবে, যে বাংলাদেশের স্বপ্ন আমরা দেখেছিলাম, আমাদের পূর্ব পুরুষরা দেখেছিল, সেই বাংলাদেশকে আমাদের প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তৈরি হন এবং দৃঢ় সংকল্প চিত্তে শপথ গহণ করুন, সেই বাংলাদেশ তৈরি না করে আমরা ক্ষান্ত হবে না। অপশক্তিকে পরাজিত করে আমরা স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তুলব।  
 
নুতন প্রজন্মকে বিকৃত ইতিহাস শেখানো হচ্ছে অভিযোগ করে ফখরুল বলেন, হতাশার সঙ্গে বলতে হয়, নতুন প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানে না।   আজকের যারা মুক্তিযুদ্ধের কথা বলছেন, মুক্তিযুদ্ধ ছাড়া কথাই বলেন না, তারা গোটা জাতিকে বিকৃত ইতিহাস দিচ্ছে। কিন্তু আমরা বিকৃত ইতিহাসে শিখতে রাজি নই। সেই জন্যই আমাদের পড়তে হবে এবং সেই বইগুলোই পড়তে হবে  যেগুলোতে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে।
 
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. মুস্তাহিদুর রহমান, কবি আব্দুল হাই সিকদার প্রমুখ।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৬/আপডেট ২১০১
এজেড/বিএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।