ঢাকা, সোমবার, ৩ আষাঢ় ১৪৩১, ১৭ জুন ২০২৪, ০৯ জিলহজ ১৪৪৫

রাজনীতি

সিলেট জেলা পরিষদ নির্বাচনে ১৫ ছাত্রনেতা

নাসির উদ্দিন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৬
সিলেট জেলা পরিষদ নির্বাচনে ১৫ ছাত্রনেতা সিলেট জেলা পরিষদ নির্বাচনে ১৫ ছাত্রনেতার ছবি

সিলেট জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিভিন্ন ওয়ার্ডে সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সাবেক ও বর্তমান ১৫ জন ছাত্রনেতা।

সিলেট: সিলেট জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিভিন্ন ওয়ার্ডে সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সাবেক ও বর্তমান ১৫ জন ছাত্রনেতা। এদের মধ্যে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের নয়জন, বিএনপির ছাত্র সংগঠন ছাত্রদলের চারজন ও ছাত্রসমাজের দু’জন।

বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বী এসব ছাত্রনেতাদের নিয়ে ভোটার ও সাধারণ মানুষের মধ্যে কৌতূহল দিন দিন বাড়ছে।

প্রার্থীদের পাশাপাশি ভোট প্রার্থনা, গণসংযোগ-প্রচারণায় অংশ নেবেন তাদের সমর্থক ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও নিজদলীয় প্রার্থীদের ছবি ও প্রতীকসহ রঙিন পোস্টার আপলোড করে ভোট ও সহযোগিতা প্রার্থনায় সরব তারা।

আর নির্বাচনে ছাত্রনেতাদের অংশ নেওয়াকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন সচেতন মহল।

সিলেট জেলা পরিষদের সাধারণ ওয়ার্ড রয়েছে ১৫টি। এই ১৫টি ওয়ার্ডে সদস্য প্রার্থী হয়েছেন একশ’ পাঁচজন। এদের মধ্যে সাবেক ও বর্তমান ছাত্র নেতা ১৫জন।

সর্বাধিক পাঁচজন ছাত্রনেতা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জেলা পরিষদের এক নম্বর ওয়ার্ড থেকে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সবাই ক্ষমাতাসীন দলের।

তারা হলেন, মদনমোহন কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এটিএম এ হাসান জেবুল (বক প্রতীক), সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি মোহাম্মদ আবদুল হানিফ কুটু (বেহালা), সাবেক জেলা ছাত্রলীগ নেতা ও সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি ফারুক আহমদ (উটপাখি), সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রজতকান্তি গুপ্ত (ঘুড়ি) ও মোহাম্মদ বিলাল খান (ক্রিকেট ব্যাট)।

দুই নম্বর ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সিলেট মহানগর ছাত্রদলের সহ সভাপতি লোকমান আলী ওরফে লোকমান আহমদ। তার প্রতীক ক্রিকেট ব্যাট।

৩ নম্বর ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সাবেক দুই ছাত্র নেতা। এদের একজন হচ্ছেন আবদুল আহাদ খান জামাল। তিনি ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি, সাবেক তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ও জেলা কমিটির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি। সাবেক এই ছাত্রনেতা ক্রিকেট ব্যাট প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

অপরজন ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আবদুল আউয়াল। তিনি পেয়েছেন হাতি প্রতীক।

আট নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী হয়েছেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি পংকজ লাল দাশ পুরকায়স্থ (টিউবওয়েল) ও সাবেক জেলা ছাত্রসমাজ নেতা মো. আশিক মিয়া (অটোরিকশা)।

নয় নম্বর ওয়ার্ডে হাতি প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জেলা ছাত্রদলের সাবেক দফতর সম্পাদক মো. মইনুল হক।

১০ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী হয়েছেন গোলাপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক ও ফুলবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. মামুন আহমদ (রিপন)। তার প্রতীক ঘুড়ি।

১১ নম্বর ওয়ার্ডে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ হাছিন আহমদ রিপন (বেহালা)। ১৩ নম্বার ওয়ার্ডে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইশতিয়াক আহমদ চৌধুরী (ঘুড়ি) ও জকিগঞ্জ উপজেলা ছাত্রসমাজের সাবেক আহ্বায়ক মো. নাজমুল ইসলাম (ক্রিকেট ব্যাট) নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

নির্বাচনে শিক্ষিত ছাত্রসমাজের অংশগ্রহণকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন সিলেট জেলা সুজনের আহ্বায়ক ফারুক মাহমুদ।

তিনি বলেন, নির্বাচনে শিক্ষিত ছাত্রসমাজের অংশগ্রহণ সর্বোচ্চ সমর্থনযোগ্য। তবে দলীয় নমিনেশন না প্রার্থী হলে স্বচ্ছতায় বিশ্বাসী লোকজন নির্বাচনে অংশগ্রহণ সংখ্যায় বেশি থাকতো। সরকারের উচিত ছিল রাজনৈতিক পরিচয়ে এ নির্বাচন না দেওয়া।

এছাড়া যারা ভোটার, তারা সরকারেরই লোক। তাই নিরপেক্ষ হিসেবে জনগণের ভোটে নির্বাচন হলে এই নির্বাচনের স্বচ্ছতা আরও বেশি থাকতো, বলেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৬

এনইউ/এএটি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।