ঢাকা: বঙ্গবন্ধুর খুনীদের বিচার এবং ফাঁসির রায় কার্যকর হওয়ায় যুদ্ধাপরাধেদের বিচার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু।
১৪ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী জাতীয় শোকদিবসে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডির কাছে এ মন্তব্য করেন।
আমির হোসেন আমু বলেন, এ বছর একটু ভিন্ন প্রেক্ষাপটে জাতি বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ ও জাতীয় শোকদিবস পালন করছে। সেটা হলো ৩৪ বছর প্রতীক্ষার পর জাতি বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার বিচার পেয়েছে। বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচারের মধ্য দিয়ে দেশে এটা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে, কেউ ইচ্ছা করলেই যা-খুশি করতে পারে না, খুন করে কেউ পার পেতে পারে না। কেউই যে আইনের উর্ধ্বে নয়, দেরীতে হলেও তা প্রমাণিত হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচারের রায় কার্যকর হওয়ার মধ্য দিয়ে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার পথ প্রশস্ত হয়েছে।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য সরকার তৎপর হয়ে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় সর্বোচ্চ আদালতের রায় কার্যকর হওয়ায় যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সিদ্ধান্ত নিতে সরকারের জন্য সহায়ক হয়েছে। আদালতের সামনেও এটি দেশের বিচারিক ইতিহাসের এক বড় মাইলফলক হয়ে থাকলো। য্দ্ধুাপরাধীদের বিচারেও এই রায় নানাভাবে সহায়ক ও দৃষ্টান্তমূলক। এভাবে নৈরাজ্যকর অবস্থা েেক দেশে ন্যায় বিচার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হবে।
বাংলাদেশ সময়, আগস্ট ১৫, ২০১০