ঢাকা: ভারতকে ট্রানজিট দেওয়া নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সিদ্ধান্তে বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর.কম.বিডির কাছে বিরোধীদল বিএনপি সতর্ক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। ভারতের উত্তর- পূর্বাঞ্চলীয় সাতটি রাজ্যের জন্য দেওয়া ট্রানজিট সুবিধার বিপক্ষে প্রকাশ্য অবস্থান নিতে দ্বিধায় ভুগছেন দলের সিনিয়র নেতারা।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী মনে করেন প্রধানমন্ত্রী মুখে বললেও ভারতকে শেষ পর্যন্ত ট্রানজিট দেবেন না।
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর প্রজ্ঞা ও রাজনৈতিক দক্ষতার ওপর আমাদের আস্থা রয়েছে। শেখ হাসিনা মনে প্রাণে একজন ধর্মভীরু মানুষ। বাংলাদেশ একটি মুসলিম দেশ। প্রধানমন্ত্রী দেশকে ভালোবাসেন এটি আমার বিশ্বাস। উনি দেশের স্বার্থবিরোধী কোনো কাজা করতে পারেন তা আমি মনে করি না। ’
তিনি আরো বলেন, ‘ চট্টগ্রামের জনগণ ইতিমধ্যেই রায় দিয়েছে। তারা ট্রানজিটের পক্ষে না। আশা করি সরকার জনগণের এই রায়ের প্রতিও শ্রদ্ধা জানাবে।
আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিভিন্ন সভা-সমাবেশে খালেদা জিয়া বলেছিলেন, ‘জীবন দেবো তবু ভারতকে ট্রানজিট দেবো না’ খালেদা জিয়ার অতীতে দেওয়া এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য লে জে. (অব). মাহবুব বলেন, ‘খালেদা জিয়া একটি ভিন্ন প্রেক্ষাপটে ওই বক্তব্য দিয়েছিলেন। নেপাল-ভুটানের সাথে ট্রানজিটের ব্যাপারে বিএনপির কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু ভারতের ৭টি অঙ্গ রাজ্যের সাথে ট্রানজিটের বিষয়ে শুধু বিএনপি নয়, গোটা জাতিরই আপত্তি আছে। ’
তিনি আরো বলেন, ‘পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিপু মনি কী বলেছেন সেটি দেখার পর আমাদের দলীয় অবস্থান ব্যাখ্যা করব।
দলের অপর স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘ভারতকে দেওয়া ট্রানজিটের ব্যাপারে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াই সিদ্ধান্ত নেবেন। ’
গয়েশ্বরচন্দ্র রায় বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, ‘ জনগণকে নিয়ে আন্দোলন করা ছাড়া কোনো উপায় নেই। খালেদা জিয়ার বক্তব্য স্মরণ করিয়ে দিলে তিনি বলেন, ‘আমরা তো আর সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামে নামতে পারি না। ’
উল্লেখ্য, রোববার বিকেলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ঘোষণা দেন, ‘ভারতের ৭টি রাজ্যের জন্য ট্রানজিট সুবিধা দেবে বাংলাদেশ। ’
বাংলাদেশ সময় ০০২০ ঘণ্টা, আগস্ট ৯, ২০১০