ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

রাজনীতি

যুদ্ধাপরাধের বিচারের নামে প্রহসনের আয়োজন চূড়ান্ত: জামায়াত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩২৯ ঘণ্টা, আগস্ট ৪, ২০১০

ঢাকা: যুদ্ধাপরাধের বিচারের নামে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে সরকার প্রহসনের আয়োজন চূড়ান্ত করেছে বলে অভিযোগ করেছে জামায়াত।

বুধবার দুপুরে রাজধানীর মগবাজারে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম লিখিত বক্তব্যে এ অভিযোগ করেন।



শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার, রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন ও চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ইত্যাদি বিষয়ে জামায়াতের অবস্থান জানাতে এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।

আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘স্বাধীনতাযুদ্ধের পর আওয়ামী লীগ সরকার পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ১৯৫ সেনা কর্মকর্তাকে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করেছিল। তাদের ছেড়ে দিয়ে ৩৯ বছর পর জামায়াতের নিরাপরাধ নেতাদের বিচারের মুখোমুখি করা আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের চরম লংঘন। ’

১৯৭৩ সালের আইনকে কালো আইন আখ্যায়িত করে এটিএম আজহার দাবি করেন, ‘১৯৭৩ সালের যে আইনে জামায়াত নেতাদের বিচারের মুখোমুখি করা হচ্ছে সে আইন সম্পর্কে দেশি-বিদেশি আইন বিশেষজ্ঞদের প্রবল আপত্তি রয়েছে। ’

যে আইনের (১৯৭৩) অধীনে বিশেষ ট্রাইবুনাল গঠন করা হয়েছে তা নিয়ে ‘ইন্টারন্যাশনাল বার অ্যাসোসিয়েশন ওয়ার ক্রাইম কমিটি’ এরই মধ্যে ১৭টি আপত্তি উত্থাপন করেছে বলেও জানান জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি।

রাজনৈতিক হয়রানির জন্য জামায়াত নেতাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইম ট্রাইবুনাল অ্যাক্ট ১৯৭৩-এর (সংশোধন) সেকশন ১১(৫) অনুযায়ী অভিযোগ গঠনের আগে আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা যায় না। ’

সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুজিবুর রহমান, মহানগর জামায়াত সেক্রেটারি সাংসদ হামিদুর রহমান আজাদ , জামায়াতের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট জসিমউদ্দিন, প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি তাসনীম আলম, সাবেক সাংসদ সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ৪, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।