ঢাকা: প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ মোট ২০টি রাজনৈতিক দল নির্বাচন কমিশনে (ইসি) তাদের বার্ষিক আয় ব্যয়ের হিসাব জমা দিয়েছে। তবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ হিসাব জমা দেওয়ার জন্য ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় চেয়েছে।
রোববার শেষ দিনে ১৪টি দল তাদের আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেয়। বাকি ছয়টি দল আগেই হিসাব জমা দিয়েছিল। নির্বাচন কমিশনে মোট নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ৩৮টি। কমিশনের সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
রোববার বিকাল চারটায় আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস এবং এ বি এম রিয়াজুল কবির কাওসার দলের পক্ষে কমিশনের অতিরিক্ত সচিব রফিকুল ইসলামের কাছে হিসাব জমা দেওয়ার জন্য সময় বাড়ানোর আবেদন করেন।
পরে আওয়ামী লীগের দুই নেতা সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ মুহুর্তে সারাদেশে দলের সদস্য সংগ্রহ ও সদস্য পদ নবায়নের কাজ চলছে। এর মাধ্যমে দল বড় অংকের অর্থ সংগ্রহ করে। ফলে এ কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত দলের আয়-ব্যয়ের সঠিক হিসাব নিরূপণ করা সম্ভব নয়। তাই সময় চাওয়া হয়েছে। ’
এর আগে বিকাল তিনটায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল কমিশনে গিয়ে বিএনপির আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেয়।
সাংবাদিকরা বিএনপির আয়-ব্যয়ের হিসাব সম্পর্কে জানতে চাইলে নজরুল ইসলাম খান তা জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ‘আয়-ব্যয়ের হিসাব কমিশনে জমা দেওয়ার বিধান রয়েছে। জনগণের কাছে প্রকাশের কোনো বিধান এখন পর্যন্ত নেই। তাছাড়া দল সিদ্ধান্ত নিলে পরে জনগণকে হিসাব জানানো হবে। ’
তবে তিনি বলেন, বিএনপি তাদের লাখ লাখ সদস্যের কাছ থেকে পাঁচ টাকা করে চাঁদা নেয়।
বিকাল সাড়ে চারটায় অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন সরকারের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল কমিশনের অতিরিক্ত সচিব রফিকুল ইসলামের কাছে জামায়াতে হসলামীর আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেন। জামায়াত নেতারাও এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য সাংবাদিকদের জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
জসিম উদ্দিন সরকার বলেন, ‘জামায়াতের কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নেই। কর্মী ও সমর্থকদের চাঁদার টাকাই দলের আয়ের প্রধান উৎস। দলের বাইরে কোনো ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা বা চাঁদা গ্রহণ করা হয় না। তবে বিশেষ কর্মসূচিগুলোতে বিভিন্ন ব্যক্তির স্বপ্রণোদিত অনুদান নেওয়া হয়।
যে ২০টি দল হিসাব জমা দিয়েছে তারা হল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় পার্টি (এরশাদ), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), জাকের পার্টি, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ), বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, ইসলামী ঐক্য জোট, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ইসলামিক ফ্রন্ট ও খেলাফত মজলিস।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ০১, ২০১০