সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডি
ঢাকা: বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির বৈঠকে অবিলম্বে দলের বিরোধ মিটিয়ে ফেলার দাবি উঠেছে।
শনিবার সকালে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে শুরু হওয়া বৈঠকের প্রথম অধিবেশনে বক্তৃতা দেওয়া নেতারা এ দাবি জানান।
তারা বলেন, ‘দলের সিনিয়র নেতাদের মধ্যে মতবিরোধ আছে। এ মতবিরোধ প্রায় সময়ই প্রকাশ্যে চলে আসে। এছাড়া ছাত্রদল ও যুবদলের মধ্যে দ্বন্দ্ব আছে। জেলা ও বিভাগীয় কমিটির সঙ্গে কেন্দ্রীয় নেতাদের সমন্বয়নের অভাব রয়েছে। এসব বিরোধ মিটিয়ে দলকে আরও শক্তিশালী না করতে পারলে সরকারবিরোধী কর্মসূচি সফল করা সহজ হবে না। ’
এছাড়া তোষামোদকারী ও চাটুকাররা চেয়ারপারসনকে ঘিরে রেখে ত্যাগী নেতাদের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করছেন বলেও অভিযোগ করেন নেতারা।
দলে আসা নতুন মানুষকে দলীয় নেতৃত্বে বসানোর ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা বলেন, ‘তারা (নতুনরা) দলের তেমন কাজে আসেন না। নিজ এলাকার সঙ্গে তাদের কোনো যোগাযোগ থাকে না। তারা রাজধানীতে থেকে তাদের স্বার্থ সিদ্ধি করেন। এতে দলের ভাবমূর্তি ুণœ হয়। ’
বৈঠকের সভাপতি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কাছে সরকারবিরোধী কঠোর কর্মসূচি ঘোষণারও দাবি জানান তারা।
সকাল সোয়া ১১টায় শুরু হওয়া প্রথম অধিবেশনে বিভিন্ন জেলা ও কেন্দ্রীয় কমিটির মোট ২২ নেতা বক্তব্য রাখেন। শুরুতেই বক্তব্য রাখেন দলের যুব বিষয়ক সম্পাদক ও যুবদল সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। দুপুর ২টায় অধিবেশন শেষ হয়।
আলাল তার বক্তব্যে সংগঠন আরও জোরদার করতে খালেদা জিয়াকে ত্যাগী নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলার অনুরোধ জানান।
তিনি বলেন, ‘নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি কমিয়ে আনতে ম্যাডামের (খালেদা) হস্তক্ষেপ
প্রয়োজন। ’
খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপি সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ ভূঁইয়া ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে একটি চক্র আছে। ওই চক্র চেয়ারপারসনের সঙ্গে ত্যাগী নেতাকর্মীদের দেখা করতে না দেওয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এ চক্র ভাঙ্গতে হবে। ’
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাৎ বলেন, ‘বিভাগ ও জেলা পর্যায়ে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। তাদের জন্য সঠিক নির্দেশনা প্রয়োজন। এছাড়া ত্যাগী নেতাদের সাংগঠনিক দায়িত্বে নিয়ে আসা উচিৎ। ’
এছাড়া সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা) নজরুল ইসলাম মঞ্জু, হবিগঞ্জ জেলা বিএনপি সভাপতি জিকে গউস, সাংসদ রেহেনা আক্তার রানু, নির্বাহী কমিটি সদস্য মাহবুবুল হক নান্নু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
তারা বলেন, ‘বৃহত্তর আন্দোলনের স্বার্থে সব মতবিরোধ মিটিয়ে ফেলা উচিত। ’
রাত ৯টা পর্যন্ত এ বৈঠকে ৭০ জন নেতা বক্তৃতা করবেন বলে জানিয়েছে দলীয় সূত্র।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১০