মানিকগঞ্জ: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় পুলিশকে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার আদেশ দিয়েছেন মানিকগঞ্জের আদালত।
বৃহস্পতিবার সকালে মানিকগঞ্জ আদালতের বিচারিক হাকিম আক্তারুজ্জামান ভূঁইয়া সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে এই নির্দেশ দেন।
বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন সাংবাদিকদের জানান, এই আদেশের ফলে সিংগাইর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামলাটি রুজু করে চাইলে আসামিদের গ্রেফতারও করতে পারেন।
এদিকে স্থানীয় বিএনপি সর্মথক আইনজীবী জামিলুর রশিদ খান বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, ‘হয়রানি করার জন্যই মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। এর কোনও ভিত্তি নেই। এ অবস্থা চললে তো সমাবেশেও কথা বলা যাবে না। আদালত প্রভাবিত হয়েই এই আদেশ দিয়েছে। ’
তিনি জানান, মামলার বাদী নিজে একজন হত্যা মামলার আসামি। এ মামলা করে উল্টো প্রধানমন্ত্রীকেই খাটো করেছেন তিনি।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ২৫ জুলাই ঢাকার মুক্তাঙ্গনে একটি সমাবেশে ১নং আসামি ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে তার বক্তব্যে বলেন, ‘আপনার বাবার যে পরিণতি হয়েছে আপনার পরিণতিও একই হতে পারে। ’ অপর আসামি শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘একদলীয় ব্যবস্থা কায়েম করায় আপনার বাবা আল্লার নির্দেশে উপরে চলে গেছেন। আপনি আপনার বাবার পরিণতির কথা চিন্তা করেন। ’
এ সংক্রান্ত খবর পরদিন দৈনিক জনকণ্ঠে প্রকাশিত হলে তার দৃষ্টিগোচর হয় জানিয়ে বাদী আর্জিতে উল্লেখ করেছেন, ‘আসামিরা পরস্পর যোগাযোগের মাধ্যমে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে জাতির জনকের জ্যেষ্ঠ কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্যোগ গ্রহন করেছেন। ’
মামলায় দৈনিক জনকণ্ঠের সম্পাদক আতিকুল্লাহ খান মাসুদ, উপদেষ্টা সম্পাদক তোয়াব খান, নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায় ও প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবেদককে স্বাক্ষী করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১০