ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ বলেছেন, গত ১৫-১৬ বছর আমরা নির্যাতন, মামলা, গুম ও হত্যার শিকার হয়েছি। ফ্যাসিবাদের শিকার হয়েছি।
শনিবার (৩ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে উত্তরাঞ্চল ইঞ্জিনিয়ার্স ফোরামের আয়োজনে প্রকৌশলী শাহরিন ইসলাম তুহিনের মুক্তির দাবিতে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
হারুনুর রশীদ বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দেশে গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে। তারা বৈষম্যের সংস্কৃতি চালু করেছে। দেশের ছাত্র-জনতা গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিদায় করেছে। তারপরও কেন এখনো বৈষম্য চলবে? কেন শাহরিন ইসলাম তুহিনকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে না? আট-নয় মাসে কি ছাত্র-জনতার রক্ত বৃথা যাবে?
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উদ্দেশে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, মুক্ত বাংলাদেশে এসেও এখনো কেন প্রকৌশলীদের প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করতে হবে? স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আবেদন করা হলেও তা প্রধান উপদেষ্টার অফিসে যায়নি কেন? যারা তুহিনের আগে-পরে আবেদন করেছেন তারা সবাই মুক্তি পেয়েছেন, অথচ তুহিন এখনো বন্দি। এ থেকে বোঝা যায়, কোনো প্রভাবশালী মহল ইচ্ছাকৃতভাবে ফাইল আটকে রেখেছে।
সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন, প্রকৌশলী শাহরিন ইসলাম তুহিনের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে শুধু তিনি জিয়া পরিবারের সদস্য ও খালেদা জিয়ার ভাগনে হওয়ায়। এটি শুধু ব্যক্তি তুহিনের নয়, বরং জিয়া পরিবার ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হেয় প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা।
তারা বলেন, আমরা এই মানববন্ধন থেকে প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি-অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে তুহিনের বিরুদ্ধে সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে তাকে মুক্তি দেওয়া হোক। অন্যথায় প্রকৌশলী সমাজ বৃহত্তর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন গড়ে তুলবে।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম এবং সঞ্চালনা করেন প্রকৌশলী মন্নুর আহমেদ।
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন এ্যাব-এর সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামিম রাব্বি সঞ্চয়, উত্তরাঞ্চল ইঞ্জিনিয়ার্স ফোরামের সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রকৌশলী মো. মোস্তাফিজুর রহমান মোর্তুজা, সহ-সভাপতি প্রকৌশলী সাদেকুল ইসলাম, প্রকৌশলী মো. গোলাম মোস্তফা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আইনুল হক জেমস, আমিনুল ইসলাম রিমন, প্রকৌশলী মো. লিয়াকত আলী, প্রকৌশলী মনতোষ কুমার পাল, প্রকৌশলী আতিকুর রহমান আতিক ও প্রকৌশলী আলমগীর।
এসআইএস