ঢাকা, শনিবার, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ১১ মে ২০২৪, ০২ জিলকদ ১৪৪৫

রাজনীতি

মাদারীপুরে চাঁদাবাজির মামলায় ২ সঙ্গীসহ যুবলীগ নেতা কারাগারে 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৩ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০২৩
মাদারীপুরে চাঁদাবাজির মামলায় ২ সঙ্গীসহ যুবলীগ নেতা কারাগারে 

মাদারীপুর: মাদারীপুরে চাঁদাবাজি ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর মামলায় যুবলীগ নেতা ও তার দুই সহযোগীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।  

মঙ্গলবার (১৬ মে) দুপুরে মাদারীপুর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক কে এম আলমগীর হোসেন এ আদেশ দেন।

 

আসামিরা হলেন- মাদারীপুর সদর উপজেলার পেয়ারপুর এলাকার মৃত আব্দুর রব তালুকদারের ছেলে ও জেলা যুবলীগের সহ-সম্পাদক সুমন তালুকদার (৪২), একই এলাকার মৃত মোস্তফা বেপারীর ছেলে সালমান রেজা ওরফে সাদ্দাম বেপারী (২৯) ও পেয়ারপুরের মৃত রহমান তালুকদারের ছেলে শফিউল আলম লিটন তালুকদার (৪৩)।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বেশ কিছুদিন ধরে দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধি ও সাংবাদিক সংগঠন মৈত্রী মিডিয়া সেন্টারের সাধারণ সম্পাদক এস এম আরাফাত হাসানের সঙ্গে জেলা যুবলীগের সহ-সম্পাদক সুমন তালুকদারের বিরোধ চলছে। গত ৭ এপ্রিল বিকেলে নতুন শহর এলাকায় অবস্থিত মৈত্রী মিডিয়া সেন্টারে গিয়ে সুমন তালুকদার ও তার সহযোগীরা দেশীয় অস্ত্র ধরে আরাফাতের কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদার টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় হত্যার হুমকি ও ভয়ভীতি দেখান সুমন ও তার সহযোগীরা।  

পরে সেখান থেকে চলে গিয়ে মাদারীপুর ক্রাইম ফেসবুক পেজ ও মাদারীপুর ক্রাইম ফেসবুক আইডির মাধ্যমে আরাফাত হাসানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের মানহানিকর ও বিভ্রান্তিকর তথ্য বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন তারা।  

এ ঘটনায় সোমবার (১৫ মে) আরাফাত হাসান বাদী হয়ে সুমন তালুকদার ও তার দুই সহযোগী শফিউল আলম ওরফে লিটন তালুকদার এবং সালমান রেজা ওরফে সাদ্দাম বেপারীকে আসামি করে সদর থানায় চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করেন। এছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করা হয়।

মঙ্গলবার দুপুরে এজাহারভুক্ত আসামিরা আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন।  বিচারক বাদী ও আসামিপক্ষের আইনজীবীর মাধ্যমে শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে তিনজনকেই কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পাশাপাশি এ ঘটনায় জড়িত বাকিদের ধরতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশ দেন আদালত।

মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনোয়ার হোসেন চৌধুরী জানান, সাংবাদিক আরাফাত হাসানের মামলায় বাকি আসামিদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে। এছাড়া কারাগারে পাঠানো আসামিদের প্রয়োজনে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হবে।

মাদারীপুর জেলা যুবলীগের সভাপতি আতাহার সরদার বলেন, অভিযুক্ত সুমন তালুকদারের সাজা হলে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। যুবলীগ করলেও তিনি মূলত অন্য এক নেতার কর্মী।

বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০২৩
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।