ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

সমন্বয়হীনতার কারণে ১০ ডিসেম্বরের আন্দোলনের পতন হয়েছে: সৈয়দ ইবরাহিম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৯ ঘণ্টা, মে ৮, ২০২৩
সমন্বয়হীনতার কারণে ১০ ডিসেম্বরের আন্দোলনের পতন হয়েছে: সৈয়দ ইবরাহিম

ঢাকা: সমন্বয়হীনতার কারণে বিএনপির ২০২২ সালের ১০ ডিসেম্বেরের  আন্দোলনের পতন হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম।

সোমবার (৮ মে) বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদের ৩য় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ‘দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে প্রবাসীদের ভূমিকা ও সংকট’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদ।

বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে যে সংগ্রাম চলছে, সেই সংগ্রামে সবাইকে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, ২০২২ সালের ১০ ডিসেম্বরকে কেন্দ্র করে চূড়ায় উঠেছিল আন্দোলন। হিমালয়, কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বতের চূড়ার মতো। কিন্তু যে কোনো অসমন্বয়ের কারণে সেটি চূড়া থেকে পতিত হয়৷ আকাশ থেকে নক্ষত্রের যেমন পতন ঘটে, আন্দোলনের সেভাবে পতন ঘটেছে। পুনরায় সেই আন্দোলনকে চূড়ায় নেওয়ার গুরুদায়িত্ব সবার। সবার সেই আন্দোলনে শরিক হয়ে আবদান রাখা প্রয়োজন।

আলোচনা সভায় বিমানবন্দরে প্রবাসীদের হয়রানি বন্ধসহ ১০ দফা দাবি জানান বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদের নেতারা।  

সেই দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, এই দশ দফা বাস্তবায়ন করতে হবে। এই দশ দফা বাস্তবায়নে কোটি কোটি টাকা খরচ করতে হবে না। এর জন্য চাই আন্তরিকতা। বর্তমান ফ্যাসিস্ট, অনির্বাচিত সরকারের জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা না থাকার কারণে ১ কোটি ২০ লাখ প্রবাসীর প্রতিও তাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই। যে কারণে প্রবাসীদের এই দাবিগুলোর প্রতি তারা মনোযোগ দিচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, আমরা এই সরকারের কাছে ভিক্ষা চাই না। আমাদের এই মুহূর্তের আন্দোলন এই সরকারের পরিবর্তন, এই সরকারের বিদায়।

ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরকে নিজের আইকন উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আমরা যদি আজকে তরুণদের পাশে না দাঁড়াই, তাহলে বাংলাদেশ অরক্ষিত থাকবে। আমরা যদি আজকে তরুণদের পৃষ্ঠপোষকতা না করি, আগামী দিনে বাংলাদেশ অভিভাবকবিহীন হবে। তাই আমাদের নৈতিক দায়িত্ব তরুণ সমাজকে এগিয়ে দেওয়া।

জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আজকে যারা দেশকে পরিবর্তন করার জন্য জীবন বিপন্ন করে, জীবনের মূল্য ত্যাগ করে রাজনীতিতে এসেছে, তাদের পাশে আপনারা দাঁড়ান, তাদেরকে সহায়তা করুন।

তিনি আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রতিবেশি বার্মা, ত্রিপুরা, মিজোরাম হওয়ায় এটি একটি স্পর্শকাতর অঞ্চল। এই পার্বত্য চট্টগ্রামকে রক্ষা করার জন্য দেশের মানুষকে সচেতন হতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামকে ব্যবহার করে বহু দেশে বাংলাদেশ সরকারের উপর অনৈতিক চাপ আনতে চেষ্টা করে। আমাদের এই বিষয়ে অবশ্যই সাবধান থাকতে হবে।

কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে ১৯৯৭ সালে একটি দ্বৈত শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও, সেটি এখনো পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়নি বা হতে দিচ্ছে না। আমরা সেখানকার বাঙালি ও পাহাড়িদের নিরাপত্তা চাই। আমরা সবার সমান অধিকার চাই। আমরা সেখানকার জায়গা জমির জরিপ চাই।

তিনি আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম ভৌগলিকভাবে এমন একটি জায়গায় অবস্থিত, যেখানে সীমান্ত দিয়ে প্রতিবেশি দেশগুলো থেকে অবৈধভাবে মাদক ও অস্ত্র ঢুকে। আবার অবৈধভাবে মানুষ যায়। দেশের নিরাপত্তার জন্য এগুলো বন্ধ করতে হবে।

বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদের উপদেষ্টা ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব কুমার পোদ্দারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া, সদস্য সচিব নুরুল হক নুর, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রাষ্ট্রবিজ্ঞানী দিলারা চৌধুরী, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী মহসিন রশিদ, নাবিকের সভাপতি ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন, গণঅধিকার পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান, যুগ্ম আহ্বায়ক তারেক রহমান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৭ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০২৩
এসসি/এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।