ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

রাজনীতি

সংবিধান বিরোধিতাকারীরা জাতীয় শত্রু: আমু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৪ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০২৩
সংবিধান বিরোধিতাকারীরা জাতীয় শত্রু: আমু

ঢাকা: আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু বলেছেন, আমাদের সংবিধান নিয়ে যারা কথা বলে তারা জাতীয় শত্রু। সংবিধান নিয়ে কথা বলার জন্য সেই আইনে তাদের কেন গ্রেফতার করা হয় না? যারা দেশের অস্তিত্ব নিয়ে কথা বলে সেই আইনে কেন তাদের গ্রেফতার করা হয় না? কেন তাদের শাস্তি দেওয়া হয় না? এটাই আজ আমাদের জিজ্ঞাসা।

সেই আইন যথাযথ প্রয়োগ করে জনগণের সামনে স্বাধীনতাবিরোধীদের শাস্তি দেওয়া হোক।

বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আমু বলেন, আমরা ১৪ দল স্বাধীনতার পক্ষে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে এবং বঙ্গবন্ধু রচিত সংবিধানের পক্ষে কাজ করে আসছি। আজ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অবিচলভাবে জাতীয় চার মূলনীতির ভিত্তিতে আমরা এগিয়ে যাব।

১৪ দলের এ মুখপাত্র বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর কে ক্ষমতায় এলো? খন্দকার মোস্তাক। আওয়ামী লীগ নেতা, অর্থাৎ একটা ধারণা দেওয়া হলো আওয়ামী লীগপন্থীরাই ক্ষমতায় আছে। তার আড়াই মাস পর ক্ষমতায় এলো জিয়াউর রহমান। পরিচয় কি? মুক্তিযোদ্ধা। কর্মকাণ্ড কী? অমুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মূল্যবোধকে হত্যা করে এই দেশে পাকিস্তানি রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করা। সেই লক্ষ্যে সেদিন ১৫ আগস্ট সংঘটিত করে এদের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

বিএনপি কেন নির্বাচনের বিরুদ্ধে তা স্মরণ করিয়ে দিয়ে আমির হোসেন আমু বলেন, সরকারে ছিল কে? ফখরুদ্দীনের পরিচয় ছিল কী? জিয়াউর রহমান  নিয়োজিত বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিল কে? জেনারেল মতিন। পরিচয় কী? খালেদা জিয়ার সরকারের দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান। মঈন উদ্দিন কে? ছয় জনকে বাদ দিয়ে খালেদা জিয়া যাকে সেনাবাহিনী প্রধান করেছিলেন। সেদিন যে লোকগুলোকে নিয়ে সরকার গঠন করা হয়েছে তারা ছিল বিএনপিপন্থী।

এ আ.লীগ নেতা আরও বলেন, পাকিস্তান আমল থেকে সামরিক সরকার যখন আছে তখন ইমিডিয়েট যে সরকার থাকে তাদের বিরুদ্ধে কথা বলে। তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি সব কিছু নিয়ে আসে। আমরা গণতন্ত্র দেব– এই কথা বলে তারা আসে। কিন্তু ফখরুদ্দীন-মঈন উদ্দিন সরকার যখন এলো, তারা কিন্তু তখন যে সরকার ছিল (খালেদা জিয়া) তাদের বিরুদ্ধে কোনো কথা বলেনি। প্রথমে গ্রেফতার করা হলো শেখ হাসিনাকে। তিনি ছিলেন বিরোধী দলের নেতা। খালেদা জিয়াকে কিন্তু গ্রেফতার করা হয়নি।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, গণতান্ত্রিক পার্টির নেতা ডা. শাহাদাৎ হোসেন, গণআজাদী লীগের সভাপতি এসকে সিকদার, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল বাসদের রেজাউল রশিদ খান, গণতন্ত্র মজনু পাটির সভাপতি জাকির হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৫, মার্চ ৩০, ২০২৩  
এনবি/এসএএইচ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।