ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

মুক্তমত

মহামান্য আদালতের আদেশ জাতির আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন

এ কে এম রিপন আনসারী | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১২
মহামান্য আদালতের আদেশ জাতির আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন

সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত, অগ্রগতি ও ও বিচারকার্য সম্পর্কে মহামান্য হাইকোর্ট দিক নির্দেশনাসহ যে আদেশ দিয়েছেন তা নিঃসন্দেহে দেশের শীর্ষ স্থানীয় অনলাইন দৈনিক বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম এর মাধ্যমে প্রকাশিত জাতির আকাংখা ও আবেদনের প্রতিফলন ।

মঙ্গলবার হিউম্যান রাইটস এ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ এর পক্ষে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদের দায়ের করা রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্টের বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ যে আদেশ দিয়েছেন তা ন্যায় বিচার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার একটি সুস্পষ্ট নির্দেশনা।

আমরা আশা করি বিজ্ঞ আদালতের আদেশ ও নির্দেশনা অনুসারে সরকার সাগর-রুনির প্রকৃত হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও আদালতে বিচারের মুখোমুখি করে ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার জন্য সাংবিধানিক ও আইনি দায়িত্ব পালন করবে।

মিডিয়ার মাধ্যমে জানা গেছে, মহামান্য বিচারপতিদ্বয় বলেছেন, দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রকৃত আসামিদের আদালতে উপস্থিত করতে হবে। এই ব্যাপারে আদালতের যে নির্দেশনা রয়েছে তা তদন্তাধীন কোন মামলার বিষয়ে সংবাদ প্রচার ও প্রকাশের ক্ষেত্রে মিডিয়া অবশ্যই সজাগ ও সচেতন ছিল এবং থাকবে।

প্রসঙ্গতঃ সাম্প্রতিক সময়ে বাংলানিউজ সাগর-রুনি হত্যাকা- নিয়ে বেশ কয়েকটি প্রতিবেদন ও অতিথি লেখকদের লেখা প্রকাশ করে। এ সকল লেখার মাধ্যমে প্রকৃত পক্ষে জাতির যে চাহিদা ছিল তা বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশনাসহ আদেশে তা পূরণ হয়েছে। প্রকাশিত প্রতিবেদন গুলোতে এই মামলা তদন্তের অগ্রগতি, আসামি আটক বা গ্রেপ্তার সংক্রান্ত তথ্য এবং প্রকৃত অপরাধীদের আদালতে উপস্থিতকরণ প্রসঙ্গে তদন্তকারী কর্মকর্তাদের ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। সংবিধানের ৩৯ নং অনুচ্ছেদের প্রদত্ত ক্ষমতা বলে সাগর-রুনি হত্যা মামলার সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী অফিসারের কাছে মিডিয়ার মাধ্যেমে জনগণ এই দাবিটিই করেছিল। মঙ্গলবার মহামান্য আদালতের নির্দেশনামূলক আদেশে জনগণের এই দাবির প্রতিফলন ঘটেছে।

গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে জনগণের মূখপাত্র হিসেবে মিডিয়া, সংবিধানের ৩৯ নং অনুচ্ছেদ বলে চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা এবং বাক-স্বাধীনতার বহিঃপ্রকাশ মাত্র।
 
সংবিধানের ৩৯নং অনুচ্ছেদে (ক) এ বলা হয়েছে, প্রত্যেক নাগরিকের বাক ও ভাব প্রকাশের স্বাধীনতার অধিকার এবং

৩৯(খ) এ সংবাদক্ষেত্রের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দান ।

তবে এই অনুচ্ছেদ প্রযোজ্যের ক্ষেত্রে আরোপিত বাধা-নিষেধের মধ্যে প্রধানতঃ আদালত অবমাননাকর ও মানহানিজনিত সংবাদ প্রকাশ অন্যতম।

৩৯ নং অনুচ্ছেদের বাধানিষেধ সাপেক্ষে ২(ক) এবং ২(খ) অনুসারে মিডিয়া সংবাদ প্রকাশ করে সত্য উদঘাটনে ন্যায় বিচার ও আইনকে সহযোগিতা করছে।

আমরা আশা করি মহামান্য উচ্চ আদালতের আদেশ নির্দেশের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে ও মানবাধিকারের প্রতি যতœবান হয়ে সংবিধান ও আইন অনুসারে সংশ্লিষ্টরা দায়িত্বপালন করবেন। তবেই ন্যায় বিচার নিশ্চিত প্রতিষ্ঠিত হবে।

এ কে এম রিপন আনসারী, সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।