বর্তমান পরিস্থিতিতে গর্ভবতী মায়ের সাবধানতা
** সবার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক ও ওষুধ সেবন করা থেকে গর্ভবতী মায়েদের বিরত থাকতে হবে।
** প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না যাওয়া ও গণপরিবহন এড়িয়ে চলা।
** করমর্দন, কোলাকুলি না করা।
** সবার থেকে কমপক্ষে তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখা।
** পরিবারের সবাই বার বার কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড পর্যন্ত সাবান দিয়ে হাত ধোয়া
** সাবান দিয়ে কাপড় ধোয়া
** সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা
** নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খাওয়া ও পানি বেশি বেশি খাওয়া
** সুসিদ্ধ রান্না করা খাবার খাওয়া
** গর্ভকালীন সময়ে মায়ের স্বাভাবিক চেকআপ, খুব সমস্যা হলে ডাক্তারে সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে সমাধান নেওয়া
** আয়রণ, ফলিক এসিড, ক্যালসিয়াম ও পুষ্টিকর খাবার নিয়মিত খাওয়া
রোজা রাখলে গর্ভবতী মায়ের করণীয়
** রোজার ইফতারের পর থেকে সেহেরি পর্যন্ত স্বাভাবিকের থেকে বেশি খাবার খেতে হবে, এসময় অল্প অল্প করে বারে বারে খাবার খাওয়া যেতে পারে।
** গরমের দিনে এবারের রমজান হওয়ায় ফ্লুইড ব্যালেন্সের জন্য বেশি বেশি পানি পান করা, তবে খুব বেশি পানি পান করার ফলে আপনার অস্বস্তি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা।
** পাশাপাশি ফলের শরবত ও পুষ্টিকর তরল জাতীয় খাবার বেশি বেশি পান করা।
** ইফতারের সময় বেশি ভাজাপোড়া এবং তেল জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকা।
** আয়রণ, ফলিক এসিড, ক্যালসিয়াম ও পুষ্টিকর খাবার নিয়মিত খাওয়া।
** ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো ধরনের ওষুধ সেবন না করা।
** যদি কারো গর্ভাবস্থায় কিছু ওষুধ সেবন করতে হয়, তারা চিকিৎসকের পরামর্শে দিনের ওষুধগুলো রাতেও হিসেব অনুযায়ী খেতে পারেন।
** প্রতিনিয়িত গর্ভের সন্তানের নড়াচড়া লক্ষ করা
কোভিড-১৯ আক্রান্ত মায়ের করণীয়
** যদি কোভিড১৯-এর লক্ষণ বা উপসর্গগুলো দেখা দেয় তবে সেটি গোপন না করে দ্রুত কল সেন্টার বা নির্ধারিত হাসপাতালে যোগাযোগ করুন
** চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলা এবং ১৪ দিন নিজ গৃহে বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কোয়ারেন্টিন অবস্থায় থাকুন।
** সব সময় মাস্ক পরিধান করা এবং বার বার (২০ সেকেন্ড) সাবান দিয়ে হাত ধোয়া
** বেশি করে ভিটামিন সি ও তরল জাতীয় উষ্ণ পানীয় গ্রহণ করা
** প্রতিদিনের পরিহিত পোশাক ভালো করে সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলা
** পরিবারের সবার সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখা
করোনায় আক্রান্ত গর্ভবতী মায়ের চিকিৎসাধীন সময়ে লক্ষণীয় বিষয়
** বার বার তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণ
** শ্বাস প্রশ্বাসের হার পর্যবেক্ষণ
** পেটের ভেতর বাচ্চার নড়া-চড়ার পর্যবেক্ষণ
এছাড়া পরিবারের সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে মানসিক ও সামাজিক সমর্থনসহ গর্ভবতী মায়ের যত্ন নিতে হবে। আর প্রসবের সময় অপারেশন এর প্রয়োজন হলে নির্ধারিত হাসপাতাল ও চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করাটা খুবই প্রয়োজন।
লেখক: গাইনি ও প্রসূতি বিশেষজ্ঞ, কনসালটেন্ট, বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতাল বরিশাল।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫১ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০২০
এইচএডি