নলতা কেন্দ্রীয় আহছানিয়া মিশনের হিসাবরক্ষক এবাদুল হক বাংলানিউজকে বলেন, নলতা পাক রওজা শরীফে প্রতিদিন ১০ হাজার মানুষের ইফতারের আয়োজন করা হয়। এর মধ্যে ৬ হাজার মুসল্লি রওজা শরীফ প্রাঙ্গণে একই ছাউনির নিচে বসে একত্রে ইফতার করেন।
তথ্যানুসারে, ১৯৫০ সাল থেকে প্রতিবছর রমজানে রওজা চত্বরে বিশাল ছাউনি তৈরি করে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। রমজান মাসব্যাপী এ ইফতার মাহফিলের আয়োজন করতেন হজরত শাহ্ ছুফী খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা (রহ.)। পরবর্তীতে তার মৃত্যুর পরও মিশন কর্তৃপক্ষের ধারাবাহিকতা বজায় রাখেন।
রোজাদারদের জন্য এখানে প্রতিদিন ৬শ কেজি দুধ দিয়ে তৈরি করা হয় ফিরনি। সিদ্ধ করা হয় ১০ হাজার ডিম। এছাড়াও ছোলা ভুনা, কলা, খেজুর, সিঙড়া ও চিড়ার ব্যবস্থা থাকে।
নলতা কেন্দ্রীয় আহছানিয়া মিশনের সদস্য মো. মালেকুজ্জামান জানান, ক্রমান্বয়ে ইফতার মাহফিলের পরিধি বেড়েই চলেছে। এখানে নতুন একটা মসজিদ নির্মাণের কাজ চলছে। সেটা নির্মাণ হয়ে গেলে প্রায় ২৫ হাজার মানুষের বসার স্থান হবে। বর্তমানে অস্থায়ীভাবে টিন ও বাঁশ দিয়ে ছাউনি তৈরি করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, প্রতিবছর রমজানে ইফতার, তারাবি ও ইতেকাফ উপলক্ষে নলতা রওজা শরীফে সাড়ে ৬ লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে বাঁশ-খুঁটি দিয়ে টিনের ছাউনি তৈরি করা হয়। দৈনিক ইফতারিতে খরচ হয় গড়ে ২ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা। দিনে দিনে এর ব্যাপ্তি আরও বাড়ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৭ ঘণ্টা, মে ১০, ২০১৯
এসএইচ