ঢাকা, সোমবার, ২২ আশ্বিন ১৪৩১, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৩ রবিউস সানি ১৪৪৬

অফবিট

পাতা উল্টালেই মশা পগার পার!

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৯ ঘণ্টা, আগস্ট ৩, ২০১৭
পাতা উল্টালেই মশা পগার পার! পাতা উল্টালেই মশা পগার পার!

ঢাকা: গোটা ঢাকা শহর যখন মশাবাহিত রোগে কাবু, দুই মেয়র যখন গলদঘর্ম মশা তাড়াতে, ঠিক তখন এক অভিনব পদ্ধতি এনে চমকে দিলো পশ্চিমবাংলার বাংলা পত্রিকা ‘এই সময়’। ভাবছেন পত্রিকা আবার মশা তাড়াবে কীভাবে! হুম, সেটাও যে সম্ভব তা প্রমাণ করে দিলো টাইমস অব ইন্ডিয়া গোষ্ঠীর এ বাংলা পত্রিকা।

চিকুনগুনিয়ার মতো মশাবাহিত রোগ তাড়াতে কোনো উপায় খুঁজে পাননি আমাদের মেয়রদ্বয়। শেষতক একজন ফোনে হেল্পলাইন চালু ও বাড়ি বাড়ি ডাক্তার পাঠাতে বাধ্য হয়েছেন।

অথচ ‘এই সময়’ এমন পদ্ধতি আবিষ্কার করলো যে পাতা উল্টালেই পগার পার হবে মশা। মশা নিয়ে মশকরা নয় কিন্তু, ঘটনা সত্যি!

বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) সকালে পাঠকদের চমকে দিয়েছে পত্রিকাটি। পত্রিকা হাতে নিয়েই এক ধরনের গন্ধ পেতে থাকেন পাঠক। কিন্তু মশার স্প্রে তো করেননি, আবার কয়েলও জ্বালাননি। তাহলে? চোখ পড়লো পত্রিকার প্রথম পাতার ডান কোণের প্যানেলে। কি, জ্বলজ্যান্ত মশা নাকি বসে আছে? না, এটা তো ছবি! এবার চোখ পড়লো লেখা ‘এই সময়, মশা থেকে মুক্তির বিশেষ বন্দোবস্ত। ’ আবার দামও বেশি, মানে ৬ টাকা। শনি, রোববার থাকে ৫ টাকা। অন্যদিন ৪ টাকা।

পাতা উল্টালেই মশা পগার পার!এবার পাতা উল্টাতেই গন্ধটা যেন আরও তীব্র হলো। চোখ পড়লো তৃতীয় পাতার সপ্তম কলামের উপরে। সেখানে লেখা নিবেদন। নিচে লেখা, ‘আজ ‘এই সময় পত্রিকাটি খুললেই পাবেন একটি বিশেষ সুগন্ধ। সেই গন্ধটি বেশ কয়েক দিন দূরে রাখবে মশার ‍ঝাঁককে। এই জন্য আজ ‘এই সময়’ সংবাদপত্রের মূল্য ৬ টাকা। দুটি সবিনয় বক্তব্য। এক. এই মূল্যবৃদ্ধি শুধুমাত্র আজকের জন্য। দুই. কাগজের গন্ধযুক্ত অংশটি বাড়ির শিশু এবং পোষা পশুপাখির নাগালের বাইরে রাখবেন। তাছাড়া সংবেদনশীল ত্বকে এই সংবেদনশীল পৃষ্ঠা কিছু অস্বস্তি সৃষ্টি করতেও পারে। আশা করি, মশক-লাঞ্ছিত বর্ষায় এই উদ্ভাবনী নিবেদন পাঠকসাধারণের উপকারে আসবে এবং আমরা তাদের সহৃদয় আনুকূল্য থেকে বঞ্চিত হব না। ’

পাতা উল্টালেই মশা পগার পার!দ্বিতীয় পাতায় তারা মশা নিয়ে বিশেষ আয়োজনও করেছে। যেখানে মশা তাড়ানোর উপায়, রক্ষার জন্য করণীয়, মশা কাদের কামড়ায়, কোন পোশাক, কোন রঙে মশা আকৃষ্ট হয় প্রভৃতি।

তবে আজকের পত্রিকার বিশেষ উদ্ভাবনী দিক হলো এটা ধারে কাছে থাকলে মশা আপনার কাছে ভিড়বে না। মশা মারতে দরকার পড়বে না কামান-দাগা। পত্রিকার পাতাই যথেষ্ট!

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৩ ঘণ্টা, আগস্ট ০৩, ২০১৭
এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।