ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ মে ২০২৪, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

অফবিট

সোনায় মোড়ানো সমুদ্র সৈকত!

অফবিট ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৫৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৬
সোনায় মোড়ানো সমুদ্র সৈকত!

স্পেনের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে গালিশিয়ার ক্যাথেড্রাল সমুদ্র সৈকতের উপরিভাগে হাজার হাজার বছর ধরে শিলা জমছে। ক্যান্টাব্রিয় সমুদ্রে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিকভাবে তৈরি এ সৈকতটিতে প্রাচীন গুপ্তধন স্বর্ণের বিশাল ভাণ্ডার লুকিয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা।

স্পেনের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে গালিশিয়ার ক্যাথেড্রাল সমুদ্র সৈকতের উপরিভাগে হাজার হাজার বছর ধরে শিলা জমছে। ক্যান্টাব্রিয় সমুদ্রে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিকভাবে তৈরি এ সৈকতটিতে প্রাচীন গুপ্তধন স্বর্ণের বিশাল ভাণ্ডার লুকিয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা।

গালিশিয়া উত্তর-পশ্চিম স্পেনের একটি স্বায়ত্ত্বশাসিত অঞ্চল। এটি ইউরোপের সবচেয়ে প্রাচীন রাজ্যগুলো ও আ কোরুনিয়া, লুগো, ওউরেন্সে ও পোন্তেভেদ্রা প্রদেশ নিয়ে গঠিত। গালিশিয়ার দক্ষিণে পর্তুগাল, পূর্বে স্পেনের কাস্তিল ও লেয়ন এবং আস্তুরিয়াস অঞ্চল, উত্তরে ও পশ্চিমে আটলান্টিক মহাসাগর। সান্তিয়াগো দে কোম্পোসতেলা গালিশিয়া অঞ্চলের রাজধানী।

রোমানদের গালিশিয়া জয়ের পর প্রায় ২ হাজার বছর আগে বিশাল ও শক্তিশালী রোমান সাম্রাজ্যে যোগ দেয় অঞ্চলটি। তারা নতুন স্বর্ণমুদ্রা তৈরি করে। গালিশিয় সরকার এজন্য ক্যাথেড্রাল সমুদ্র সৈকতে বিভিন্ন স্থাপনা তৈরি করে তার ভেতরে প্রচুর স্বর্ণ মজুদ করে রাখে।  

সেসব অবকাঠামো আজও দাঁড়িয়ে আছে। বেশ কয়েকটি স্থানীয় স্বর্ণখনিও আবিষ্কৃত হয়েছে।

বছরের পর বছর পানির আঘাতে এ সমুদ্র সৈকতের অন্ধকার গুহা ও পাথুরে স্থাপনাগুলোর দেয়ালে গভীর গর্তের সৃষ্টি করেছে, যা আর্কিটেকচার ভাষায় ক্যাথেড্রাল নামে পরিচিত। ভেজা সোনাগুলো বিচের গুহার মধ্যে থাকার ফলে পোক্ত হয়ে গেছে। এজন্য সেগুলো ‘শোষিত স্বর্ণখনি’ হিসেবে স্বীকৃত।

তবে স্বর্ণখনি আবিষ্কারে তেমন কোনো বড় ধরনের গবেষণা বা অনুসন্ধান এখন পর্যন্ত হয়নি।

সাংস্কৃতিক সংরক্ষণ গ্রুপ মেরিনা প্যাট্রিমোনিও মনে করে, সৈকতের জোয়ারে একটি সোনার খনির প্রমাণ ভেসে থাকতে পারে। গালিশীয় সরকারকে সমুদ্র সৈকতটিতে রোমান সোনার খনি অনুসন্ধানে চাপ দিচ্ছে সংগঠনটি। গ্রুপটির সভাপতি ম্যানুয়েল মিরান্ডা বলেন, গালিশিয়ার স্বর্ণ এলাকাটি খুবই সমৃদ্ধ এবং ক্যাথেড্রাল বিচটি স্বর্ণখনি দ্বারা বেষ্টিত।

তবে মিরান্ডা মনে করেন, সৈকত বায়ু ও সমুদ্রে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়েছে, সোনার খনিতেও মানুষের হস্তক্ষেপ ঘটেছে। ফলে এটির অনেকটাই ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় প্রমাণ খুঁজে পাওয়া অসম্ভব। তাই সমুদ্রতলের ওপরে সৈকত খুঁড়ে ও অবকাঠামোগুলোর ভেতরেই স্বর্ণখনির অনুসন্ধান চালানো প্রয়োজন।
 
মিরান্ডা বলেন, আমরা মনে করি, ক্যাথেড্রাল বিচে স্ফটিকমণির অংশের মধ্যে সোনা থাকতে পারে। আরেকটি প্রমাণ গুহাগুলোর ভেতরেও পাওয়া যাবে।
 
‘হয়তো একদিন প্রত্নতত্ত্ববিদরা ক্যাথেড্রাল সৈকতে স্বর্ণ অনুসন্ধানে আগ্রহী হবেন’- আশা মিরান্ডার। তিনি জানান, তিনি লক্ষ্য করেছেন যে, এর ফলাফল ইতিহাস পরিবর্তন করতে পারে।

তখন পর্যন্ত অতীতের রহস্য, উত্থান ও বিপর্যয় সমুদ্র তরঙ্গের মধ্যেই লুকিয়ে থাকবে।

গ্যালিশীয় সরকার অবশ্য সৌন্দর্য ও শিলাখচিত বীথির অসাধারণত্বের কারণে সৈকতটিকে একটি প্রাকৃতিক মনুমেন্ট হিসেবে ঘোষণা করেছে। ক্যাথেড্রাল বিচ রক্ষায় এর অতীত নিয়ে গঠিত হয়েছে একটি সমীক্ষা কমিশন।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৬
এএসআর/এএ

 

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।