ঢাকা, রবিবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৯ মে ২০২৪, ১০ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

অপহরণের পর মেয়েদের সঙ্গে গোপন ছবি তুলে মুক্তিপণ দাবি, আটক ৪

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০২২
অপহরণের পর মেয়েদের সঙ্গে গোপন ছবি তুলে মুক্তিপণ দাবি, আটক ৪

নওগাঁ: নওগাঁয় অপহরণের পর বিভিন্ন মেয়েদের সঙ্গে গোপন ছবি তুলে মুক্তিপণ দাবি করতেন এমন চার অপহরণকারীকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-৫) জয়পুরহাট ক্যাম্পের সদস্যরা। এ সময় এক ভিকটিমকেও উদ্ধার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) সকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানায় র‌্যাব-৫। এর আগে বুধবার (১৬ নভেম্বর) রাতে নওগাঁ শহরের পাটালির মোড় থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটকরা হলেন, শহরের পাটালির মোড় এলাকার আব্দুর রহিমের ছেলে দুলাল হোসেন (৩৮), লুৎফর রহমানের ছেলে ইমরান হোসেন হিরা (৩৬), সদর উপজেলার কাঠ খৈইর এলাকার তাহের আলীর ছেলে হুজুর আলী (৪০) ও হাট-নওগাঁ এলাকার আক্তারুল জামানের ছেলে মেহেদী হাসান রনি (২০)।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আটক চারজন দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষকে অপহরণ করে দুলাল হোসেনের ভাড়া বাসায় আটকে রেখে বিভিন্ন মেয়েদের সঙ্গে উলঙ্গ ছবি তুলতেন। পরে তাদের কাছ থেকে মুক্তিপণ দাবি ও আদায় করা হতো। এই সিন্ডিকেটের সদস্য সংখ্যা ৮-১০ জন যার নেতৃত্বে রয়েছে মূলহোতা দুলাল হোসেন।

গতকাল বুধবার সকাল ১১টার দিকে ভিকটিম জমির কাগজ দেখানোর কথা বলে দুলাল হোসেন ও হুজুর আলী ওরফে ভুনা মিলে আব্দুস সামাদকে ওই বাসায় নিয়ে আসেন। এরপর ভিকটিমকে এক নারীর সঙ্গে উলঙ্গ ছবি তুলে ও ভিডিও করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া এবং ভিকটিমের আত্মীয়স্বজনের কাছে বিলিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে দেড় লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। মুক্তিপণ হিসেবে ভিকটিম তার পরিবারের কাছে ফোন দিয়ে ৭৫ হাজার টাকা নিয়ে অপহরণকারীদের দেন। পরবর্তীতে তারা আরও ৭৫ হাজার টাকা দাবি করেন এবং টাকা না দেওয়ায় তাকে দুলালের বাসায় আটকে রাখেন।

পরে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে পেরে জয়পুরহাট র‌্যাব-৫ ক্যাম্পের একটি চৌকস অপারেশন দল অভিযান পরিচালনা করে মূলহোতাসহ চারজনকে আটক করে। এ সময় ভিকটিমকে উদ্ধারসহ ভিকটিমের দেওয়া ৫০ হাজার টাকা জব্দ করা হয়।

এ বিষয়ে তাদের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০২২
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।