ঢাকা, রবিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ডাক্তার সেজে চুরি, মামলার বাদী না পেয়ে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দিলো পুলিশ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৩৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ৮, ২০২২
ডাক্তার সেজে চুরি, মামলার বাদী না পেয়ে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দিলো পুলিশ

ঢাকা: ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডাক্তার বেশে অ্যাপ্রোন পরা অবস্থায় শুভ আহমেদ (২৭) নামে এক চোরকে আটক করেছে হাসপাতালে নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকা আনসার সদস্যরা। এ সময় তার কাছে একটি স্টেথোস্কোপ পাওয়া যায়।

তবে পুলিশ মামলার বাদি না পাওয়ায় সেই চোরকে মুচলেখা নিয়ে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়।

সোমবার (০৭ নভেম্বর) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকা আনসার সদস্যদের প্লাটুন কমান্ডার (পিসি) আব্দুর রউফ।

তিনি জানান, শুভ পেশাদার চোর। অ্যাপ্রোন পরে ডাক্তার বেশে হাসপাতালে ঘুরে ঘুরে ডাক্তারদের বই, ল্যাপটপ ও রোগীদের মোবাইল ফোন-টাকা পয়সা চুরি করতেন তিনি। এর দুই মাস আগেও তাকে পর পর দুইবার ঢাকা মেডিকেলের নতুন ভবনের সিসিইউ থেকে চুরি করা জিনিসসহ হাতেনাতে আটক করা হয়েছিল। সেই সময় কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পে শুভকে হস্তান্তর করা হয়।

তিনি আরও জানান, আজকে দুপুরেও হাসপাতালের নতুন ভবনের একই জায়গা সিসিইউ থেকে অ্যাপ্রোন পরা অবস্থায় তাকে আটক করা হয়। চোর শুভর মূল টার্গেট ডাক্তারদের বিভিন্ন পড়াশোনার জন্য নামিদামি বই চুরি করে নীলক্ষেতে বিক্রি করা। এরকম প্রমাণও পাওয়া গেছে।

আনসার সদস্য আব্দুর রউফ জানান, আজকেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হাসপাতালে পুলিশ ক্যাম্পে শুভকে হস্তান্তর করা হয়। চুরি করাই তার পেশা। এ জন্য তার ছবি হাসপাতালের বিভিন্ন জায়গায় টাঙ্গানো আছে। আজকে তাকে দেখে চিনতে পেরে আবার আটক করা হয়।

এদিকে হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) বাচ্চু মিয়া জানান, মামলার বাদি খুঁজে না পাওয়ায় ওই চোরের কাজ থেকে মুছলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এর কয়েক মাস আগেও তাকে আরও একবার আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল।

শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর মোহাম্মদ বাংলানিউজকে বলেন, বিষয়টির আমি কিছুই জানি না। হাসপাতাল ক্যাম্পের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলবো।

এদিকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক জানান, ওই চোরের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য হাসপাতালে পুলিশ ক্যাম্পে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ মামলার বাদী না পেয়ে থাকলে আমাদে সেটা জানানো উচিত ছিল। তারা না জানিয়ে চোরকে ছেড়ে দিয়েছে এ বিষয়টি ঠিক হয়নি।

বাংলাদেশ সময়: ০১৩২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০২২
এজেডএস/এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।