ঢাকা, সোমবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ মে ২০২৪, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

ঠিকাদার পরিচয়ধারী প্রতারক গ্রেফতার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৫, ২০২২
ঠিকাদার পরিচয়ধারী প্রতারক গ্রেফতার

ঢাকা: কখনো সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, কখনো ঠিকাদার সেজে ভিন্ন ভিন্ন নামে প্রতারণা করে আসছিলেন নাজমুল হোসেন। তার বাড়ি পিরোজপুরের আদর্শপাড়া গ্রামে।

সম্প্রতি প্রতারণার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করেছে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ।

শনিবার (০৫ নভেম্বর) বিকেলে মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বাংলানিউজকে বলেন, মোহাম্মদপুরের টাউনহলে ফোরজি লাইট হাউজের একটি ইলেক্ট্রনিক পণ্যের দোকানে আরমান নামে এক ব্যক্তি নিজেকে ঠিকাদার পরিচয় দেন। আর দুই-একদিনের মধ্যে ১১ লাখ টাকার পণ্য নেওয়ার কথা বলেন। এর দুই দিন পর তিনি ওই দোকানের মালিককে ফোন দিয়ে বেশকিছু পণ্য ভাষানটেকের ঠিকানায় সরবরাহের কথা বলেন।

তার কথামতো ৭ লাখ ৩৯ হাজার ৩৪০ টাকার মালামাল দুজন কর্মচারীসহ পিকআপে করে পাঠিয়ে দেন দোকানটির মালিক। পণ্য পেয়ে আরমান নামের ওই ব্যক্তি সেইসব মালামাল ভাষানটেকের আরেকটি দোকানে ডিসকাউন্টে বিক্রি করে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় ফোরজি লাইট হাউজের মালিক মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলা করেন।

ওসি বলেন, প্রতারণার ঘটনাটি অভিনব হওয়ায় সিনিয়র কর্মকর্তাদের নিবিড় তত্ত্বাবধানে তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়। এক পর্যায়ে সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে ঘটনায় জড়িতকে শনাক্ত করে গত ২ নভেম্বর মিরপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় তার কাছ থেকে একটি নম্বরবিহীন প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়।

পরে ডিএমপির আসামি শনাক্তকরণ সফটওয়্যারের মাধ্যমে তার প্রকৃত নাম নাজমুল হোসেন, পিতা সফিকুল আলম, মাতা নাজমা আক্তার ও স্থায়ী ঠিকানা পিরোজপুরের আদর্শপাড়া বলে জানা যায়। তবে তার কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া ড্রাইভিং লাইসেন্স অনুযায়ী তার নাম মুশফিকুর রহমান, পিতা জামাল বেপারী, মাতা রূপা আক্তার ও ঠিকানা পল্লবীর কালশি।

ওসি আরও বলেন, কখনো তিনি জাতীয় পরিচয়পত্র, কখনো জন্মসনদ ব্যবহার করে ড্রাইভিং লাইসেন্স, বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, পাসপোর্ট ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে ট্রেড লাইসেন্স তৈরি করেছেন। পরিস্থিতি বুঝে কখনো পদস্থ কর্মকর্তা, কখনো ঠিকাদার বা কখনো ব্যবসায়ী সেজে প্রতারণা করছিলেন নাজমুল হোসেন। মানুষের বিশ্বাস অর্জনের জন্য তিনি প্রাইভেটকারটি ব্যবহার করতেন। এছাড়াও তিনি রয়্যাল আর্ক গ্রুপ নামে ভুয়া ফেসবুক পেজে ইলেকট্রিক পণ্যের বিজ্ঞাপন দিতেন।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নাজমুল হোসেন বিভিন্ন পরিচয় ব্যবহার করে ২৩টির বেশি প্রতারণার কথা স্বীকার করেছেন। মোহাম্মদপুর থানায় দায়ের করা মামলায় তিনি আদালতের মাধ্যমে পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন বলেও জানান ওসি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০২২
এসজেএ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।