ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ মে ২০২৪, ০৫ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

মাগুরায় ঐতিহ্যবাহী কাত্যায়নী পূজা শুরু

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০২২
মাগুরায় ঐতিহ্যবাহী কাত্যায়নী পূজা শুরু

মাগুরা: ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে রোববার (৩০ অক্টোবর) থেকে মাগুরার ঐতিহ্যবাহী কাত্যায়নী পূজা শুরু হয়েছে।  

পাঁচ দিনব্যাপী এ পূজা শেষ হবে আগামী বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর)।

তবে পূজা উপলক্ষে আয়োজিত মেলা চলবে এক মাস। দীর্ঘ ৬০ বছর ধরে মাগুরা জেলায় দুর্গাপূজার এক মাস পরে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে এ পূজা।  

এ বছর মাগুরা জেলা সদরের পারনান্দুয়ালী, ছানার বটতলা, জামরুলতলা, নতুন বাজার, বাটিকাডাঙ্গা, পারনান্দুয়ালী, তাতিপাড়াসহ সদর উপজেলায় ৫০টি মণ্ডপে প্রতিমা গড়েছেন প্রতিমাশিল্পীরা। এছাড়া জেলা সদরের বাইরে অন্য তিন উপজেলায় ৪৬টি মন্দিরে কাত্যায়নী পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। শহরের প্রতিটি পূজা মণ্ডপকে ঘিরে তৈরি হয়েছে দৃষ্টিনন্দন ফটক, প্যান্ডেল, তোরণ। বৈদ্যুতিক আলোকসজ্জার মাধ্যমে প্রতিটি মণ্ডপে আয়োজন করা হয়েছে নানা রকম প্রদর্শনীর। প্রতিটি মন্দিরেই তৈরি হয়েছে নয়নাভিরাম সব প্রতিমা।

মাগুরা জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল দত্ত বলেন, প্রতিবছর মাগুরার কাত্যায়নী পূজা দেখতে সারা দেশের বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি নেপাল ও ভারত থেকে লাখ লাখ দর্শনার্থীর সমাগম ঘটে। এসব দর্শনার্থীদের কথা মাথায় রেখে এ বছর আয়োজনে ভিন্নতা রাখা হয়েছে। লাইটিংয়ের পাশাপাশি মণ্ডপগুলোতে নির্মিত প্রতিমা ও লাইটের কারুকার্যের মাধ্যমে দেখানো হবে দেব-দেবীদের বিভিন্ন রকম প্রদর্শনী, যা দেখে দর্শনার্থীরা এবার বাড়তি আনন্দ উপভোগ করতে পারবে।

তিনি আরও বলেন, ধর্মীয় শাস্ত্র মতে, কাত্যায়নী হচ্ছে দেবী দুর্গার আরেক নাম। দাপর যুগে যমুনা নদীর তীরে দেবী দুর্গার মাধ্যমে কৃষ্ণ আরাধনা করতো যমুনা পাড়ের মানুষ। সেই ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান অনুসরণ করে কাত্যায়নী দেবীর মূর্তি স্থাপন করে প্রতিবছর পাঁচদিন ধরে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে মাগুরার সনাতন ধর্মাবলম্বীরা এ পূজা পালন করে। এখানে পূজা উপলক্ষে আয়োজিত উৎসবে অংশ নিয়ে থাকে সব ধর্ম-বর্ণের লোকেরা। এ কারণে কাত্যায়নী পূজা মাগুরা জেলার সাম্পদায়িক সম্প্রতির এক অন্যন্য দৃষ্টান্ত।  

এদিকে কাত্যায়নী পূজা উপলক্ষে আয়োজিত মাসব্যাপী মেলায় অংশ নেওয়ার জন্য দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসতে শুরু করেছেন দোকানিরা।

পূজা চলাকালীন জেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে বিশেষ সভা করে নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

মাগুরা জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মশিউদ্দৌলা জানান, পূজা মণ্ডপগুলোর নিরাপত্তার জন্য পুলিশ, আনসার ও স্বেচ্ছাসেবকদের সমন্বয়ে গঠন করা হয়েছে একাধিক টিম। এছাড়া সাদা পোশাকধারী পুলিশ, র‌্যাবের পাশাপাশি পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে দায়িত্ব পালন করবে একাধিক ভ্রাম্যমাণ টিম।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০২২
আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।