ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ মে ২০২৪, ০০ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ নির্মাণে যুক্তিনির্ভর চিন্তার প্রসার ঘটাতে হবে: স্পিকার

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০২২
ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ নির্মাণে যুক্তিনির্ভর চিন্তার প্রসার ঘটাতে হবে: স্পিকার

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ নির্মাণে যুক্তিনির্ভর চিন্তার প্রসার ঘটিয়ে মানবিক সমাজব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

শনিবার (১৫ অক্টোবর) চাঁদপুর ডিবেট মুভমেন্ট (সিডিএম) ও চাঁদপুর সরকারি কলেজ ডিবেট ফোরাম (সিসিডিএফ) আয়োজিত ভাষাবীর এম এ ওয়াদুদ জাতীয় বিতর্ক উৎসব ২০২’-এর সমাপনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

ভাষাবীর এম এ ওয়াদুদ মেমোরিয়াল ট্রাস্টের অনুপ্রেরণায় ‘শুদ্ধ চিন্তা মুক্ত থাকুক যুক্তির আশ্রয়ে’ স্লোগানকে সামনে রেখে চাঁদপুর সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে এ বিতর্ক উৎসব অনুষ্ঠিত ‌হয়।

স্পিকার বলেন, বাংলাদেশের ছেলে-মেয়েরা অত্যন্ত মেধাবী। পাঠ্যপুস্তকের লেখাপড়ার বাইরে বিশাল জগত সম্পর্কে জানার জন্য সৃষ্টিশীল বিতর্ক প্রতিযোগিতা প্রয়োজন। এর মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয়ে তরুণ প্রজন্ম দক্ষতা অর্জন করতে পারে। যুক্তিসঙ্গত চিন্তার প্রসার ঘটিয়ে জ্ঞানের পরিধি বিস্তৃত করতে বিতর্ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এক্ষেত্রে, ‘ভাষাবীর এম এ ওয়াদুদ জাতীয় বিতর্ক উৎসব-২০২২’ শিক্ষার্থীদের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ ও যথেষ্ঠ গুরুত্ব বহন করে।

তিনি বলেন, যে কোনো বিষয়ে পক্ষে বা বিপক্ষে ধারণা যুক্তিসঙ্গতভাবে উপস্থাপনের অনন্য মাধ্যম বিতর্ক। এটা মানুষের জীবনেরই একটি অংশ। বিতর্ক প্রক্রিয়ায় যুক্তিসঙ্গত চিন্তাকে প্রসারিত করার পাশাপাশি জ্ঞানের ক্ষেত্র ও পরিধিকে বিস্তৃত করার মাধ্যমে দক্ষতা, পরমত সহিষ্ণুতা বৃদ্ধি ও বাকপটু হতে সহায়তা করে। কোভিড পরবর্তী বিশ্বে সবাই নিওনরমাল পরিস্থিতিতে জীবন যাপন করছে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রতিক্রিয়া, লিঙ্গ সমতা-নিরাপত্তা ইত্যাদি প্রতিটি ক্ষেত্রে বিশেষায়িত জ্ঞানের প্রয়োজন আছে। এক্ষেত্রে উৎকর্ষতা সাধনের মাধ্যমে বিতর্ক ভূমিকা রাখে। বিতর্কের সঙ্গে গণতন্ত্র সুসংহতকরণের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। জাতীয় সংসদেও আইন প্রণয়নসহ সব বিষয়ে বিতর্ক হয়।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আরাধ্য স্বপ্ন শোষণ ও বৈষম্যমুক্ত সমাজ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ নির্মাণে বিতর্কের মাধ্যমে চিন্তাচেতনাকে শানিত, যুক্তিনির্ভর চিন্তার প্রসারকে আরও বিস্তৃত করে সৃজনশীল মানবিক সমাজব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। অন্তর্ভুক্তিমূলক ও শান্তিপূর্ণ দেশ ও সমাজব্যবস্থা গড়ে তুলতে বিতার্কিকদের ভূমিকা রাখতে হবে।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মশিউর রহমান, বিশিষ্ট সাংবাদিক মোজাম্মেল বাবু, ডা. আব্দুন নূর তুষার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে অধ্যাপক মোশাররফ হোসেন, অধ্যাপক অসিত বরণ দাসকে ‘সিডিএম আজীবন সম্মাননা পদক’ দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০২২
এসকে/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।