ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

বাংলাদেশ-ফিলিপাইনের দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও জোরদার করতে হবে: অর্থমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২২
বাংলাদেশ-ফিলিপাইনের দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও জোরদার করতে হবে: অর্থমন্ত্রী

ঢাকা: বাংলাদেশ ও ফিলিপাইন উভয় দেশ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, স্বাস্থ্যসেবা, নার্সিং এবং আইটি ক্ষেত্রেও সহযোগিতা করে লাভবান হতে পারে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এজন্য উভয় দেশের দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও জোরদার করতে হবে।

 

মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ম্যানিলায় এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সদর দপ্তরে বার্ষিক সভায় অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামালের সঙ্গে ফিলিপাইনের অর্থমন্ত্রী ও প্রতিনিধিদলের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে তিনি এ কথা জানান।

অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল বলেন, ফিলিপাইন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রথম দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম যারা ১৯৭২ সালে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে দ্রুত সময়ের মধ্যে স্বীকৃতি দিয়েছিল। এছাড়াও যারা জাতিসংঘের সাধারণ সভায় স্বাধীন বাংলাদেশের দ্রুত স্বীকৃতির এবং জাতিসংঘের সদস্যপদ নিশ্চিত করার সমর্থনের ক্ষেত্রে প্রথম দেশগুলোর মধ্যে একটি এজন্য বৈঠকের শুরুতে ফিলিপাইনের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ফিলিপাইন ২০২২ সালে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্ণ করেছে। আমরা দুই দেশের মধ্যে ৫০ বছরের কূটনৈতিক সম্পর্কের দৃঢ় ভিত্তির ওপর দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতাকে আরও জোরদার করতে যৌথ কৌশল প্রণয়ন করতে পারি যা আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্থাপন করেছিলেন। আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে টোকিও থেকে ঢাকায় ফেরার পথে ফিলিপাইনের বন্ধুপ্রতীম জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য ম্যানিলা হয়ে গিয়েছিলেন। আমাদের প্রধানমন্ত্রী ১৯৯৭ ও ২০০৪ সালে ফিলিপাইন সফর করেন এবং ১৯৯৭ সালে রাষ্ট্রপতি ফিদেল রামোস বাংলাদেশ সফর করেছিলেন।

আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, বাংলাদেশ ও ফিলিপাইনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের সম্পূর্ণ সম্ভাবনা এখনও পুরোপুরি উন্মোচিত হয়নি। দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ এখন মাত্র ১০৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। দুই দেশের মধ্যে অবিলম্বে সহযোগিতার সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলো হতে পারে ওষুধ, কৃষি পণ্য, হালকা প্রকৌশল, পাট এবং পাটজাত পণ্য ইত্যাদি। উভয় পক্ষ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, স্বাস্থ্যসেবা, নার্সিং এবং আইটি ক্ষেত্রেও সহযোগিতা করে লাভবান হতে পারে।  

তিনি বলেন, অভিবাসী কর্মীদের সহযোগিতা, উচ্চশিক্ষা, সামুদ্রিক সহযোগিতা ও কৃষি সহযোগিতা, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, যৌথ কমিশন প্রতিষ্ঠা, মিডিয়া সহযোগিতা, দুর্নীতি প্রতিরোধসহ বেশ কিছু সমঝোতা চুক্তি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও অর্থবহ করার জন্য অর্থমন্ত্রী জোর দেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২২
জিসিজি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।