ঢাকা, শনিবার, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৮ মে ২০২৪, ০৯ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

বেড়েছে মুরগি-সবজি-ডিমের দাম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২২
বেড়েছে মুরগি-সবজি-ডিমের দাম ফাইল ফটো

ঢাকা: সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে দাম বেড়েছে মুরগি, সবজি ও ডিমের। এছাড়া বাজারে অপরিবর্তিত আছে অন্য সব পণ্যের দাম।

শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর মিরপুরের ১১ নম্বর বাজার ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।

বাজারে বেড়েছে সবজির দাম। কেজিতে দাম বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা। শসা প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। লম্বা বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা। গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা। বাজারে সিমের কেজি ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে সিমের কেজি ছিল  ২৪০ টাকা, করলা  ৮০ টাকা, চাল কুমড়া পিস ৬০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৭০ টাকা, কচুর লতি ৮০, পেঁপের কেজি ৪০, বটবটির কেজি ‌৯০ এবং ধুনধুলের কেজি ৬০ টাকা।

এসব বাজারে কাঁচামরিচের প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। এছাড়া কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। শুকনা মরিচের কেজি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা।

১১ নম্বর বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. আল-আমিন বাংলানিউজকে বলেন, বৃষ্টি আর সাপ্লাই কম থাকায় সবজির দাম বেড়েছে। বাজারে সবজির সরবরাহ বাড়লে আবার দাম কমে যাবে।

বাজারে আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। পেঁয়াজের দাম কমেছে। দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি। ভারতীয় পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। এসব বাজারে রসুনের কেজি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। বাজারে চায়না রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা। আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১১০ টাকায়।

বাজারে খোলা চিনি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। এছাড়া প্যাকেট চিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯৫ টাকায়। এছাড়াও লালা চিনির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়।

এসব বাজারে দেশি মুশুরের ডালের কেজি ১৩০ টাকা। ইন্ডিয়ান মুশুরের ডালের কেজি ১০০ টাকায়। লবনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৮ থেকে ৪০ টাকা। বাজারে দামে ভোজ্যতেল বিক্রি হচ্ছে ১৯৫ টাকায়।

বাজারে বেড়েছে ডিমের দাম। ফার্মের মুরগির লাল ডিমের দাম বেড়ে ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা। বাজারে হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২১০ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন ২২০ টাকা।

১১ নম্বর বাজারের ডিম বিক্রেতা মো আশিক বলেন, বৃষ্টি আর উৎপাদন কমের অজুহাতে বেড়েছে ডিমের দাম। সিন্ডিকেট ডিমের দাম বাড়াচ্ছে। সরকার আবার ব্যবস্থা নিলে ডিমের দাম কমে যাবে।

বাজারে গরুর মাংসের কেজি ৬৬০ থেকে ৬৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকায়। বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে। ব্রয়লার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। একদিন আগেও ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছিল ১৬০ টাকা কেজি। ২০ টাকা দাম বেড়ে সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকায়। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকায়।

১১ নম্বর বাজারের মুরগি বিক্রেতা রুবেল বলেন, মুরগির উৎপাদন ও সাপ্লাই কম থাকায় দাম বেড়েছে। এছারও দাম বাড়ার আরেক কারণ হচ্ছে বৃষ্টি। বৃষ্টির কারণে বাজারে মুরগির সাপ্লাই কম।   

বাংলাদেশ সময়: ১০৫৮, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২২
এমএমআই/জেডএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।