ঢাকা, রবিবার, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০২ জুন ২০২৪, ২৪ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

নাম পরিবর্তন হলো মাদার অব হিউম্যানিটি সমাজকল্যাণ পদকের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৪, ২০২২
নাম পরিবর্তন হলো মাদার অব হিউম্যানিটি সমাজকল্যাণ পদকের

ঢাকা: মাদার অব হিউম্যানিটি সমাজকল্যাণ পদক নীতিমালার নাম সংশোধন করে জাতীয় মানব কল্যাণ পদক-২০২২ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

রোববার (০৪ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

 

মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, মাদার অব হিউম্যানিটি সমাজকল্যাণ পদক নীতিমালার নাম সংশোধনের একটা প্রস্তাব ছিল, এর আগে যখন পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল তখন জাতীয় পুরস্কার সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সদস্যরা বলেছিলেন, এই নামটা একটু পরিবর্তন করা দরকার। সেজন্য তারা তিনটি নাম নিয়ে আসছিলেন, আজকে মন্ত্রিসভা আলাপ-আলোচনা করে এটার নাম পরিবর্তন করে ‘জাতীয় মানব কল্যাণ পদক-২০২২’ করা হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ২০১৮ সালে মাদার অব হিউম্যানিটি পুরস্কার হিসেবে মন্ত্রিসভায় অনুমোদন করা হয়েছিল। আজকে মন্ত্রিসভা এটাকে পরিবর্তন করে দিয়েছে।

জানা গেছে, মিয়ানমার থেকে আগত বাস্তুচ্যুত ১১ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে বাংলাদেশে আশ্রয়দানসহ তাদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করায় প্রধানমন্ত্রী সারা বিশ্বে ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছেন। তার এ প্রাপ্তি দেশের জনগণ ও জনসেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সমাজকল্যাণ ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় নিয়োজিত ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি দেওয়ার লক্ষ্যে ‘মাদার অব হিউম্যানিটি সমাজকল্যাণ পদক’ চালু করা হয়। ‘মাদার অব হিউম্যানিটি সমাজকল্যাণ পদক নীতিমালা ২০১৮’ মন্ত্রিসভা বৈঠকের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে পরের বছর ৯ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে নীতিমালার গেজেট প্রকাশিত হয়। অনুমোদিত নীতিমালা অনুযায়ী মাদার অব হিউম্যানিটি সমাজকল্যাণ পদক জাতীয় পদক হিসেবে গণ্য হবে।

নীতিমালায় ব্যক্তি, বেসরকারি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি দপ্তর/ সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান  হতে পাঁচটি ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ও গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকার জন্য ‘মাদার অব হিউম্যানিটি সমাজকল্যাণ পদক’  প্রদানের উল্লেখ রয়েছে।  

এটি জাতীয় পদকে অর্ন্তভূক্ত করতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে চিঠি দেয় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়।

চিঠিতে বলা হয়, পদকের ডিজাইন, পদকের বর্ণনা/পরিমাপ জাতীয় পদকের আদলে তৈরি করা হয়েছে এবং সে অনুযায়ী ডিজাইন আহ্বান করে তা ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে। বর্ণিত প্রেক্ষাপটে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ২০১৯ সালের ১৪ নভেম্বর স্মারকমূলে জারিকৃত জাতীয় পুরস্কার/পদক সংক্রান্ত নির্দেশাবলী ২০১৯ এ 'মাদার অব হিউম্যানিটি সমাজকল্যাণ পদক' অর্ন্তভুক্ত করা প্রয়োজন।  

পদক পাওয়া প্রত্যেক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ১৮ ক্যারেটের ২৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণপদক, মাদার অব হিউম্যানিটি সমাজকল্যাণ পদকের রেপ্লিকা পদক ও দুই লাখ টাকার চেক এবং সম্মাননা দেওয়া হবে। বাছাই কমিটির মাধ্যমে পদকপ্রাপ্তদের নির্বাচন করা হবে। এ জন্য জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে একটি এবং জাতীয় পর্যায়ে মন্ত্রিসভার সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ মন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি কমিটি থাকবে। এই পদক স্বাধীনতা ও একুশে পদকের সমমানের হবে।

পদকের ক্ষেত্রগুলো হলো: বয়স্ক, বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা নারীদের কল্যাণ ও পুনর্বাসনে অবদান; প্রান্তিক, অনগ্রসর ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর সামাজিক সুরক্ষা, আত্মনির্ভরশীলকরণ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি; প্রতিবন্ধী ও নিউরো- ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কল্যাণ, জীবনমান উন্নয়ন, কর্মসংস্থান, ইনক্লুসিভ শিক্ষা বাস্তবায়ন ও সামাজিক সুরক্ষায় উল্লেখযোগ্য অবদান; সুবিধাবঞ্চিত, আইনের সংস্পর্শে আসা, আইনের সঙ্গে সংঘাতে জড়িত শিশু, কারামুক্ত কয়েদি, ভবঘুরে ও নিরাশ্রয় ব্যক্তিদের কল্যাণ, উন্নয়ন, পুনঃএকত্রীকরণ এবং কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের এমন কোনো কর্ম যা সমাজের মানুষের মেধা ও মননের বিকাশ, জীবনমান ও পরিবেশের উন্নয়ন, সমাজবদ্ধ মানুষের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়ন ও সর্বোপরি মানবকল্যাণ ও মানবতাবোধে সমাজ বা রাষ্ট্রকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করার কার্যক্রম।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০২২
জিসিজি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।