ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পৌর এলাকার বেশিরভাগ সড়কেরই এখন বেহাল অবস্থা। বছরের পর বছর সংস্কার না করায় এসব সড়ক অনেকটাই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
কার্পেটিং উঠে বেরিয়ে পড়েছে নিচের স্তরের ইট-সুড়কি। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে হাজারো মানুষকে। প্রায় তিন লাখ মানুষের বসবাস ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভায়।
প্রাচীনতম এ পৌরসভাটির কার্যক্রম শুরু হয় ১৭৬৯ সালে। প্রথম শ্রেণির এ পৌরসভাটিতে কাঁচা-পাকা মিলে ২৫৭ কিলোমিটার সড়ক রয়েছে।
পৌর নাগরিকরা বলেন, এটি নামে মাত্র প্রথম শ্রেণির পৌরসভা। বিশেষ করে কালিবাড়ি মোড় থেকে গোকর্ণ সড়ক, ভাদুঘর, কালাইশ্রী পাড়া, মুন্সেফ পাড়া, কান্দিপাড়া পশ্চিম মেড্ডা, টেংকের পাড় ছাড়াও বিভিন্ন সড়ক বড় বড় খানাখন্দে ভরা। সামান্য বৃষ্টিতেই এসব খানাখন্দে পানি জমে। ফলে চলাচলে পোহাতে হয় দুর্ভোগ। এছাড়া সংকীর্ণ সড়কের দুই পাশ রয়েছে অবৈধ দখলে।
পৌর এলাকার বাসিন্দা মো. পিয়াল বলেন, পৌরসভা আমাদের কাছ থেকে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিলেও আমাদের সঠিকভাবে সেবা দিচ্ছে না। কয়েক বছর হয়ে গেছে আমাদের এলাকার রাস্তুাগুলো সংস্কার করা হয়নি। ফলে আমাদের চলাচলে অনেক কষ্ট হচ্ছে।
আবুল হোসেন নামের এক বাসিন্দা বলেন, নির্বাচন এলেই তারা ভোট চাইতে এসে নানা উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে যান। পরে তা আর বাস্তবায়ন হয় না। কিছু সড়ক আছে, দেখলে মনে হয়, যুগ পার হয়ে গেছে, কিন্তু সংস্কারের ছোঁয়া লাগেনি। ড্রেনেজ ব্যবস্থাও ভালো নয়, ফলে বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়।
পৌর বাসিন্দা হালিমা বেগম বলেন, জরাজীর্ণ সড়ক দিয়ে চলাচল করলে প্রচুর ঝাঁকুনি খেতে হয়। বিশেষ করে অন্তঃসত্ত্বা ও রোগীদের আনা-নেওয়ার সময় দুর্ভোগের সীমা থাকে না।
অটোরিকশাচালক সালাম মিয়া বলেন, সড়কে চলাচল করতে গিয়ে গাড়ির যেমন ক্ষতি হচ্ছে, তেমনি আমাদের শরীরের ওপরও চাপ পড়ছে। টায়ার, টিউবসহ বিভিন্ন যন্ত্রাংশ দ্রুত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এতে আমরা আর্থিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।
নাগরিকদের দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে পৌরসভার মেয়র নায়ার কবির বাংলানিউজকে বলেন, পৌরসভার নিজস্ব তহবিল থেকে ছোটখাট সংস্কার কাজ করা হচ্ছে। শিগগিরই পৌর এলাকার সড়কগুলো সংস্কারে উদ্যোগ নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৪, ২০২২
এসআই