ঢাকা, সোমবার, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ মে ২০২৪, ০৪ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর বিষপান, বাঁচানো গেল না স্কুলছাত্রী মিমকে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০২২
সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর বিষপান, বাঁচানো গেল না স্কুলছাত্রী মিমকে ছবি: প্রতীকী

ঢাকা: ফরিদপুর ভাঙ্গা উপজেলায় এক স্কুলছাত্রী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হওয়ায় বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। তার নাম মিম আক্তার (১৫)।

সে স্থানীয় একটি স্কুলে নবম শ্রেণিতে পড়তো।

সোমবার (২৯আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে  চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে সে।

গত বুধবার (২৪ আগস্ট) দিনগত রাতে এই ঘটনাটি ঘটে। শুক্রবার রাতে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মোঃ বাচ্চু মিয়া।

বাচ্চু মিয়া বলেন, মিম আক্তার নামে এক স্কুলছাত্রী কীটনাশক পান করে মারা গেছে। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।

মৃতের বড় বোন সুমি আক্তার জানান, তাদের বাড়ি ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার হাজরাকান্দা গ্রামে। মিম দ্বিগনগর উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে পড়তো। দুই ভাই ও দুই বোনের মধ্যে মিম ছিল তৃতীয়।

সুমি আরও জানান, গত বুধবার রাত ১০টার দিকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাড়ির বাইরে যায় মিম। সেখানে আগে থেকেই ওঁৎ পেতে ছিল রাব্বী (২৩)-সহ আরও দুইজন। এ সময় মিমের মুখ চেপে ধরে পাশের জঙ্গলে নিয়ে তিনজন মিলে ধর্ষণ করে এবং বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য হুমকি দেয়। এরপর রাত ১২টার দিকে ঘরে ঢুকে মিম। দেরি করে ঘরে আসার কথা জিজ্ঞাসা করলে কিছুই বলেনি। শুধু বলে আমি বাঁচব না, মরে যাব। রাত ৩টার দিকে হঠাৎ মিম চিৎকার করে বলে আমার বুক জ্বলে যাচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে ফরিদপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার রাতে তাকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার দুপুর ১২টার দিকে মারা যায় মিম।

বোন সুমি বলেন, রাব্বী সম্পর্কে তাদের ফুফাতো ভাই হয়।   ছয়-সাত মাস আগে তার মা আফরোজা বেগম আমাদের কাছে রব্বাীর সঙ্গে  মিমের বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তুেআমার মা রাজি হননি। সেই ক্ষোভেই রাব্বী ও তার বন্ধুরা মিলে মিমকে ধর্ষণ করে। আমার বোনের মৃত্যুর জন্য রাব্বী দায়ী। তার ফাঁসি চাই।

এদিকে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়ারুল ইসলাম জানান, হাসপাতালে স্কুলছাত্রী মিমের মৃত্যুর সংবাদ আমরা পেয়েছি। আমরা তার বাসার উদ্দেশ্যে অলরেডি রওনা হয়েছি। শুনেছি তার এক আত্মীয়  বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল, পরে সে বিষপান করে। ধর্ষণের বিষয় তদন্ত করে দেখা হচ্ছে, বিস্তারিত পরে জানানো যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০২২
এজেডএস/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।