ঢাকা, সোমবার, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ মে ২০২৪, ০৪ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

খুব বেশি লোক ভারতে চিকিৎসার জন্য যায় না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০২২
খুব বেশি লোক ভারতে চিকিৎসার জন্য যায় না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী পুরোনো ছবি

ঢাকা : বাংলাদেশ থেকে প্রতিবেশী দেশ ভারতে চিকিৎসার জন্য খুব বেশি লোক যায় না বলে দাবি করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

সোমবার (২৯ আগস্ট) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদের এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে এ দাবি করেন মন্ত্রী।

অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

হারুনুর রশীদ তার প্রশ্নে বলেন, বিগত সরকারের দোহাই দিয়ে আর কোনো লাভ নাই। কারণ, আপনারা ১৫ বছর টানা ক্ষমতায়। দেশে স্বাস্থ্য সেবা পাচ্ছে না বলেই মানুষ প্রতিবেশী ভারতে চিকিৎসার জন্য যাচ্ছে। এতে দেশ থেকে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার পাচার হচ্ছে। সেই সুযোগ সৃষ্টি করার জন্য আপনারা স্বাস্থ্যখাতগুলো দুর্বল করে রাখছেন কিনা জানি না।

এরপর স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বিএনপির আমলে স্বাস্থ্য সেবা খাতে কোনো উন্নয়ন হয়নি বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, প্রতিবেশী ভারতে চিকিৎসার জন্য খুব বেশি লোক যায় না। যখন স্বাস্থ্য সেবার ব্যবস্থা দেশেই করবেন, তখন লোকে বাইরে যাবে না। আপনারা কিছুই তৈরি করেন নাই। গত ১৫ বছরে এ খাতে যে উন্নয়ন হয়েছে তাতে দেশের গড় আয়ু ৭৩ বছর এমডিজি অর্জন হয়েছে। ভ্যাকসিন হিরো হয়েছে। আপনাদের সময় একটা পুরস্কারের মুখও কেউ দেখে নাই। সেটা ভুলে গেলে চলবে না।

প্রশ্ন রেখে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আপনাদের সময়ে কয়টা হাসপাতাল ছিল? এখন কয়টা হাসপাতাল আছে সেটা জানেন? দুই একটা বলতে হয়। দেশে ১১১টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল আছে। আপনাদের সময় ১০টাও ছিল না। সেটাও করেন না। এখন নার্সিং ইন্সটিটিউট আছে সাড়ে ৩০০। আপনাদের সময় সিট ছিল সাড়ে ছয়শ। এখন ৩৪ হাজার নার্সিং আসন রয়েছে।

দেশে একই রোগের ওষুধের এক এক কোম্পানির এক এক রকম দাম উল্লেখ করে সম্পূরক প্রশ্ন করেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সদস্য পীর ফজলুর রহমান। জানতে চান দামের এ তারতম্যের ব্যাপারে সরকার কোনো উদ্যোগ নেবে কিনা।

উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ওষুধের দাম নির্ধারণ পদ্ধতি অনুযায়ী ওষুধ প্রশাসন দাম নির্ধারণ করে দেয়। তার মধ্যে এর কাঁচামাল যেগুলো আমদানি করা হয় এবং অন্যান্য উৎপাদন খরচ ধরে ভ্যাট যোগ করে একটা মূল্য ঠিক করে দেওয়া হয়। কিন্তু তার পরের দামটা (ভোক্তা পর্যায়ে) ওষুধ প্রশাসন দেখে না। ভ্যাট নির্ণয়টা সঠিক আছে কিনা, সেটা তার এখতিয়ার। অ্যাসেনসিয়াল ড্রাগের ১৩০টির মতো আমরা নিয়ন্ত্রণ করে থাকি। বাকি শত শত ওষুধের দামটা আমরা নিয়ন্ত্রণ করি না। আমরা শুধু ভ্যাট ও উৎপাদন খরচ দেখে থাকি। আসলে দামের এত তারতম্য হওয়া উচিত না। অনেকেই কাঁচামাল ইউরোপ থেকে আনেন। তাদের দাম বেশি। কেউ ভারত ও চায়না থেকে আনে, তাদের আবার দাম একটু কম থাকে। এটারও একটা তারতম্য হয়। তারপরও দামের এত তারতম্য হওয়া উচিত না। আমরা বিষয়টি দেখবো। যাতে এই বিষয়ে যা যা করার দরকার আমরা করবো।

বাংলাদেশে সময়: ১৯৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০২২
এসকে/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।