ঢাকা, সোমবার, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ মে ২০২৪, ০৪ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

শুধু তামাক নয়, মাদকমুক্ত দেশ গড়তে হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০২২
শুধু তামাক নয়, মাদকমুক্ত দেশ গড়তে হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে গিয়ে 'অত্যাবশকীয় পণ্য আইনে' সিগারেটকে তালিকাভুক্ত করে রাখাটা 'ডাবল স্ট্যান্ডার্ড' উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, আমি ৫০ বছর ধরে ধূমপান করেছি। গত তিন বছর ধরে তা বন্ধ করেছি।

এখন ভাবি, এ সময়ে বিষাক্ত ধোঁয়ার মাধ্যমে কত ক্ষতি করেছি। তামাকের কারণে যে ক্ষতি হচ্ছে তা তো কেবল টাকার হিসেবে হয় না। কত জীবন থেমে যাচ্ছে। এগুলো আলোচনায় আনা প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী তামাক নিয়ন্ত্রণে যে আইন করার কথা বলেছেন, আমার অবস্থান থেকে ১০০ ভাগ সততার সঙ্গে কাজ করবো। যেখানে যতটা প্রয়োজন, আমার পক্ষ থেকে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে যতটা সাহায্য প্রয়োজন, করবো। আমাদের শুধু তামাক নয়, মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে হবে।

তিনি বলেন, যাকে মুক্ত করতে হবে তাকে এসেন্সিয়াল পণ্য তালিকায় রাখার তো প্রয়োজন নেই। সিগারেট পণ্য হিসেবে এক দিকে গুরুত্বপূর্ণ, অপরদিকে মানুষের জন্য ক্ষতিকর। একদিকে অনেকে বলছেন অর্থনীতিতে এর গুরুত্ব রয়েছে, অন্যদিকে বলা হচ্ছে তামাকমুক্ত করার কথা। আমাদের মধ্যে দুই রকম একটা ডাবল স্ট্যান্ডার্ড তৈরি হয়েছে। এখান থেকে বেরিয়ে এসে একপাক্ষিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এছাড়া তামাকের খারাপ দিকটি বাদ দিয়ে কোনো ভালো গুণ আছে কিনা, বা এখান থেকে কোনো ওষুধ তৈরি করা যায় কিনা সে বিষয়ে এখন ভাবা যেতে পারে।

রোববার (২৭ আগস্ট) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডসের সহযোগিতায় ঢাকা আহছানিয়া মিশন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

দেশকে তামাকমুক্ত করতে শতভাগ সততার সঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতিও ব্যক্ত করে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, তামাকমুক্ত করতে আমাদের সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। মানুষকে সচেতন করতে পারলেই আমরা অর্ধেক লড়াই জিতে যাবো। পাশাপাশি বিকল্প কর্মক্ষেত্রও তৈরি করতে হবে। আমি যেই এলাকা থেকে নির্বাচিত হয়েছি সেই এলাকায় অনেক মানুষ বিড়ি তৈরি করে। সেখানে অনেক শ্রমিক কাজ করেন। এখানে অনেক মানুষের জীবিকা জড়িত। আমি অনেক চেষ্টা করছি তারা যেন এই কাজ থেকে বেরিয়ে গার্মেন্টস সেক্টরে চলে আসে। তারা অনেকে এসেছেও। সুতরাং তাদের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাও করতে হবে।

তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার স্বাস্থ্য, জাতীয় অর্থনীতি ও পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে উল্লেখ করে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের দ্রুত পরিবর্তন ও বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন উপস্থিত বক্তারা। এছাড়া অবিলম্বে অত্যাবশকীয় পণ্য আইন সংশোধন করে সিগারেটকে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান তারা।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন, ঢাকা আহছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য সেক্টরের উপ পরিচালক মো. মোখলেছুর রহমান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ন্যাশনাল অফিসার ডা. সৈয়দ মাহফুজুল হকসহ বিশিষ্টজনেরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০২২
এইচএমএস/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।