ঢাকা, রবিবার, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ১২ মে ২০২৪, ০৩ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

‘প্রক্সি’ দিয়ে লিখিত পরীক্ষা পার, মৌখিকে গিয়ে ধরা চাকরিপ্রার্থী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২২৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০২২
‘প্রক্সি’ দিয়ে লিখিত পরীক্ষা পার, মৌখিকে গিয়ে ধরা চাকরিপ্রার্থী

রাজশাহী: রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের অফিস সহায়ক পদের চাকরির লিখিত পরীক্ষায় একজন প্রক্সি দিয়েছেন। চাকরির জন্য লিখিত পরীক্ষায় প্রক্সি দিয়ে পালিয়েছেন বিকল্প পরীক্ষার্থী।

মৌখিক পরীক্ষায় ধরা পড়েছেন আসল পরীক্ষার্থী।  

শনিবার (২৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মৌখিক পরীক্ষা দিতে এসে সাইমুম হাসান নামের ওই নিয়োগ প্রত্যাশী ধরা পড়েছেন। ধরা পড়ার পর তিনি প্রক্সি পরীক্ষার্থী নিয়ে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

রাজশাহীর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মোট ৩৪টি পদের জন্য সম্প্রতি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এর মধ্যে ১৩টি পদ অফিস সহায়কের। সাইমুম ছিলেন এ পদেরই প্রার্থী।  

শনিবার বিকেল থেকে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছিল। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কল্যাণ চৌধুরীসহ ভাইভা বোর্ডের সদস্যরা সব প্রার্থীরই লিখিত পরীক্ষার খাতার সঙ্গে মৌখিক পরীক্ষার সময় হাতের লেখা মিলিয়ে দেখছিলেন। তখনই সাইমুমের হাতের লেখা লিখিত পরীক্ষার খাতার সাথে মেলেনি। এরপর জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি প্রক্সি পরীক্ষার্থী নিয়ে উত্তীর্ণ হওয়ার কথা স্বীকার করেন।

কারাদণ্ডপ্রাপ্ত এই তরুণের নাম- সাইমুম হাসান (২৫)। বাবার নাম মমতাজুল ইসলাম। তার গ্রামের বাড়ি রাজশাহী জেলার বাগমারা উপজেলার গঙ্গানারায়ণপুর গ্রামে।

সাইমুম চাঁপাইনবাবগঞ্জের একটি কলেজ থেকে মনোবিজ্ঞানে স্নাতক পাস করেন ২০১৯ সালে। তার বাবা একজন কলেজ শিক্ষক।

সাইমুম জানান, প্রাইভেট পড়তে গিয়ে রাজশাহীর কাশিয়াডাঙ্গা এলাকার মো. ওয়ালিদ নামের শিক্ষকের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। সেই ওয়ালিদ-ই সম্প্রতি তার চাকরির লিখিত পরীক্ষা দিয়ে যান। এতে তিনি পাস করেন।

রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল জানান, এই পরীক্ষার্থী নিজে যে খাতায় লিখেছেন, তাতে খাতায় শূন্য পেয়েছেন। আর তার নামে অন্যজন যে খাতা জমা দিয়ে গেছেন, তিনি খাতায় সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছেন। কিন্তু মৌখিক পরীক্ষায় মূল চাকরি প্রত্যাশী কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে পারছিলেন না। এছাড়া তারা লিখিত পরীক্ষার খাতার সঙ্গে মৌখিক পরীক্ষার সময় হাতের লেখা মিলিয়ে দেখেন। আর লেখা মেলাতে গিয়েই তিনি ধরা পড়ে যান।

জেলা প্রশাসক আরও বলেন, এই অপরাধের জন্য ১৮৬০ সালের পেনাল কোডের ১৮৮ ধারা মোতাবেক সাইমুমকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এই নিয়োগ শতভাগ স্বচ্ছতার সাথে সম্পন্ন হলো। সাইমুমের প্রক্সি নিয়েও ধরা পড়ার মধ্য দিয়ে এটা প্রমাণিত হলো। সাইমুমের লিখিত পরীক্ষা যে দিয়েছিল, তার সম্পর্কে খোঁজ নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২২২৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০২২
এসএস/এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।