ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ মে ২০২৪, ০০ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

পার্বতীপুর-কাউনিয়া ডুয়েল, খুলনা-দর্শনায় নতুন ব্রড গেজ হচ্ছে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০২২
পার্বতীপুর-কাউনিয়া ডুয়েল, খুলনা-দর্শনায় নতুন ব্রড গেজ হচ্ছে ফাইল ছবি

ঢাকা: বাংলাদেশ রেলওয়ের পার্বতীপুর থেকে কাউনিয়া পর্যন্ত মিটার গেজ রেললাইনকে ডুয়েল গেজে রূপান্তর এবং খুলনা-দর্শনা সেকশনে নতুন ব্রড গেজ লাইন নির্মাণ প্রকল্পের কনসালটেন্সি সার্ভিসের চুক্তি সই হয়েছে। উভয় প্রকল্পই ভারতীয় এলওসি-এর অর্থায়নে হবে।


 
বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) রেলভবনে চুক্তি অনুষ্ঠানে রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন উপস্থিত ছিলেন।
 
এসময় মন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের রেল ব্যবস্থা ব্রড গেজ এবং মিটার গেজ দিয়ে দুই অঞ্চলে বিভক্ত। আমরা পর্যায়ক্রমে সব রেল ব্যবস্থাকে ব্রড গেজে রূপান্তর করছি। ভারতের সব রেললাইন ব্রড গেজে। আমরাও দেশের গেজ ব্যবস্থাকে একরকম ব্রড গেজে রূপান্তর করছি। এছাড়া রেললাইন সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে যে প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে সবগুলোকেই আমরা ব্রড গেজ আকারে করছি।
 
যমুনা নদীর উপর বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতু নির্মিত হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এর মাধ্যমে পূর্বাঞ্চল এবং পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে যোগাযোগ সহজ হবে। এছাড়া ঈশ্বরদী থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত ডাবল লাইনের প্রকল্প আমরা হাতে নিয়েছি।
 
মন্ত্রী আরও উল্লেখ করেন, ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে যে ৮টি ইন্টার সেকশন বন্ধ হয়েছিল  ইতোমধ্যে ৫টি  চালু হয়েছে। বাকিগুলো পর্যায়ক্রমে চালু হবে। ভারতীয় অর্থায়নে এ প্রকল্প দুটি নির্মিত হবে। ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক ঐতিহাসিক। এ সম্পর্ক  উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে।  

সেকশন দুটি নির্মাণের গুরুত্ব তুলে ধরে রেলপথ মন্ত্রী বলেন, পার্বতীপুর কাউনিয়া ডুয়েল গেজ নির্মিত হলে ভবিষ্যতে আমরা ভারত ছাড়াও নেপাল, ভুটানের সঙ্গে কানেক্টিভ বাড়াতে সক্ষম হব এবং এর ফলে আমাদের যাত্রীসহ মালামাল পরিবহনের সুযোগ বাড়বে।
 
রেলপথমন্ত্রী বলেন, দেশের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে একটি ভারসাম্যপূর্ণ যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী তার দূরদর্শী সিদ্ধান্তে ২০১১ সালে আলাদা মন্ত্রণালয় গঠন করেন। দেশের প্রতিটি জেলায় রেল সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। রেলের উন্নয়নে অনেক প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে অনেকগুলোর কাজ চলমান আছে।
 
পার্বতীপুর থেকে কাউনিয়া পর্যন্ত মিটার গেজ লাইনকে ডুয়েল গেজে রূপান্তর প্রকল্পের চুক্তিতে সই করেন প্রকল্প পরিচালক লিয়াকত শরীফ খান এবং ভারতীয় কনসালটেন্সি সার্ভিস আরভি অ্যাসোসিয়েট ও স্টুপ কনসালট্যান্টস লিমিটেড জয়েন্ট ভেঞ্চারের পক্ষে অভিক ভট্টাচার্য। কনসালটেন্সি সার্ভিসের চুক্তি মূল্য ৭৫ কোটি ৮৪ লাখ ৬৬ হাজার ২৯০ টাকা। এই প্রকল্পে ৫৭ কিলোমিটার মিটার গেজ লাইনকে ডুয়েল গেজে রূপান্তর করা হবে।
 
খুলনা-দর্শনা সেকশনে চুক্তিতে সই করেন প্রকল্প পরিচালক মনিরুল ইসলাম ফিরোজী এবং কনসালটেন্ট সার্ভিস ভারতীয় স্টুপ কনসালটেন্ট ও আরভি অ্যাসোসিয়েটস জয়েন্ট ভেঞ্চারের পক্ষে মো. আসাদ। এ প্রকল্পের আওতায় খুলনা দর্শনার মধ্যে পুরনো লাইনের পাশাপাশি নতুন ১২৬ কিলোমিটার ব্রড গেজ রেললাইন নির্মিত হবে। কনসালটেন্সি সার্ভিসের চুক্তি মূল্য ৮৭ কোটি ৩৭ লাখ ৩ হাজার ৬৯৯ কোটি টাকা।
 
চুক্তি অনুষ্ঠানে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদার, ভারতীয় হাই কমিশনের প্রথম সচিব সালোনি সাহাইসহ মন্ত্রণালয়, রেল‌ওয়ে, ভারতীয় এক্সিম ব্যাংক প্রতিনিধি এবং কনসালট্যান্ট সার্ভিসের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০২২
এমআইএইচ/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।