ঢাকা, রবিবার, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ১২ মে ২০২৪, ০৩ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

চকবাজার অগ্নিকাণ্ড, দোষীদের শাস্তিসহ ৮ দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০২২
চকবাজার অগ্নিকাণ্ড, দোষীদের শাস্তিসহ ৮ দাবি ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: রাজধানীর চকবাজারের বরিশাল হোটেলে অগ্নিদগ্ধে ৬ জন শ্রমিক নিহত হওয়ার ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও নিহত শ্রমিকের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ, কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তাসহ ৮ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ হোটেল রেস্টুরেন্ট সুইটমিট শ্রমিক ফেডারেশন।

মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে সংগঠনটি।

 

মিছিল শেষে উপ-মহাপরিদর্শক, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর, ঢাকা বরাবর ৮ দফা দাবিসহ স্মারকলিপি দিয়েছেন তারা।  

সংগঠনটির সভাপতি আব্দুল খালেক বলেন, গত ১৫ আগস্ট রাজধানীর চকবাজারে অগ্নিদগ্ধ হয়ে বরিশাল হোটেলের ৬ জন শ্রমিক নিহত হন। অগ্নিকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। তবে শ্রমিকদের মারা যাওয়ার কারণ স্পষ্ট। সারারাত ডিউটি শেষে হোটেলে তাদের অস্বাস্থ্যকর ও অনিরাপদ জায়গায় ঘুমাতে দেওয়া হয়। ঘুমন্ত অবস্থায়ই অগ্নিদগ্ধ হয়ে তারা মৃত্যুবরণ করেন।

তিনি বলেন,  শ্রমিকদের কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তাসহ নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে হোটেল শ্রমিক ফেডারেশন। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এই মৃত্যু স্বাভাবিক মৃত্যু নয় বরং এটি একটি অবহেলাজনিত হত্যাকাণ্ড।  

এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মালিকসহ প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন ও অনুমোদনের সঙ্গে যারা জড়িত সকলই এই হত্যার জন্য দায়ী বলে মন্তব্য করেছেন সংগঠনটির সভাপতি আব্দুল খালেক।

তিনি আরো বলেন, দেশের হোটেল শিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এ খাতে প্রায় ৩০ লাখ শ্রমিক কাজ করেন। অথচ এ খাতের মালিকদের শুধু মুনাফা কেন্দ্রিক চিন্তা-ভাবনা এবং শ্রমিকদের দায়িত্ব গ্রহণ না করার মানসিকতার কারণে এ সেক্টরে কর্মরত শ্রমিকদের জীবন আজ অনিশ্চয়তায় পড়ে গেছে।

শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষায় সংগঠনটির ৮ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে-

১. প্রতিষ্ঠান আইন যথাযথভাবে কার্যকর করতে হবে এবং অনিয়ম দূর করার ব্যবস্থা নিতে হবে।

২. চকবাজারের বরিশাল হোটেলে অগ্নিদগ্ধ হয়ে নিহত প্রত্যেক শ্রমিক পরিববারকে এক জীবন আয়ের সমপরিমাণ ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করতে হবে।  

৩. শ্রমিক ও তার পরিবারের নিশ্চয়তার জন্য সামাজিক নিরাপত্তা তহবিল গঠন করতে হবে।

৪. শ্রমিকদের জন্য নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত আবাসনব্যবস্থাসহ তাদের কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।  

৫. বিধি অনুযায়ী নিয়োগপত্র-পরিচয়পত্র দিতে হবে। শ্রম আইন বাস্তবায়ন করতে হবে।  

৬. সকল হোটেল শ্রমিকদের জন্য স্বল্পমূল্যে পর্যাপ্ত রেশনিং ব্যবস্থা চালু ও ৭০ শতাংশ মহার্ঘ্য ভাতা দিতে হবে।  

৭. অবিলম্বে হোটেল সেক্টরে মজুরি বোর্ড গঠন করে বাজারদরের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে মজুরি ঘোষণা করতে হবে।

৮. ছাঁটাই নির্যাতন বন্ধ ও শ্রম আইন স্বীকৃত সকল অধিকার ও সুবিধা শ্রমিকদের দিতে হবে।  
বাংলাদেশ হোটেল রেস্টুরেন্ট সুইটমিট শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বিভিন্ন হোটেল-রেস্টুরেন্ট শ্রমিকরা।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০২২
এনবি/এসআইএস 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।