ঢাকা, শনিবার, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৮ মে ২০২৪, ০৯ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

চা শিল্প সচলে ফের ত্রিপক্ষীয় বৈঠক মঙ্গলবার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০২২
চা শিল্প সচলে ফের ত্রিপক্ষীয় বৈঠক মঙ্গলবার

হবিগঞ্জ: দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা করার দাবিতে চলমান আন্দোলনে অচল হয়ে পড়া চা শিল্প সচল করতে মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) ফের আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক ডেকেছে শ্রম অধিদপ্তর। এতে বাগান মালিক, শ্রমিক ও সরকার পক্ষের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন।

রোববার (২১ আগস্ট) বিকেল ৫টায় হবিগঞ্জের মাধবপুর-চুনারুঘাট সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহসিন আল মুরাদ বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান। এ বৈঠকের সিদ্ধান্ত হওয়ার পর চা শ্রমিকরা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক থেকে অবরোধ তুলে নিয়েছেন।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নিপেন পাল বাংলানিউজকে বলেন, ১২ দিন আন্দোলনের পর শ্রম অধিদপ্তরের বৈঠকে দৈনিক মজুরি ২৫ টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু সাধারণ শ্রমিকরা তা মেনে নেননি, এজন্য পুনরায় মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। আগামী মঙ্গলবারের বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত আসবে সেটি আগে সাধারণ শ্রমিকদের জানানো হবে, এরপর আন্দোলন প্রত্যাহার হবে কি না সাধারণ শ্রমিকরা সেই সিদ্ধান্ত দিবেন।

তিনি আরও বলেন, শ্রম অধিদপ্তর থেকে পুনরায় আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকের কথা বলায় আমরা মহাসড়ক থেকে অবরোধ তুলেছি, কিন্তু কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে। কারণ বাগান মালিকরা চা শ্রমিকদের সঙ্গে সন্তোষজনক আচরণ করে না। দাবি আদায়ের আগ পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।

আগে ধর্মঘট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত সাধারণ শ্রমিকরা মেনে নেয়নি কেন?- এমন প্রশ্নে নিপেন বলেন, বৈঠকের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে সাধারণ শ্রমিকদের জানানোর সময় আমাদের দেওয়া হয়নি। এ সিদ্ধান্ত সন্তোষজনক না হওয়ায় তারা সেটি প্রত্যাখ্যান করেছেন।

প্রসঙ্গত, দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করার দাবিতে গত ১৩ আগস্ট থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট পালন করছেন চা শ্রমিকরা। মজুরি বাড়ানোর জন্য বাগান মালিক, মজুরি বোর্ড, চা-শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক হয়। এতে দৈনিক মজুরি ২৫ টাকা বাড়িয়ে ১৪৫ টাকা করার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে শ্রমিকরা আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন।

এ বিষয়ে হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) ইশরাত জাহান বলেন, দৈনিক মজুরি ২৫ টাকা বাড়ানোর পর জেলা প্রশাসন চা শ্রমিকদের নিয়ে বসে তাদেরকে কাজে যোগ দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিল। এরপরও শ্রমিকরা রোববার মহাসড়ক অবরোধ করল। শ্রমিকরা এখন তাদের নেতাদের কথা শুনছেন না। একেক দল একেকভাবে আন্দোলন করছে। সরকারি কর্মকর্তারা সেখানে অবস্থান করে তাদেরকে বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে সরিয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০২২
এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।