ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

হরিণাকুণ্ডুতে অনুষ্ঠিত হলো ঐতিহ্যবাহী ঝাপান খেলা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০২২
হরিণাকুণ্ডুতে অনুষ্ঠিত হলো ঐতিহ্যবাহী ঝাপান খেলা

ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলায় অনুষ্ঠিত হয়ে গেল দুই দিনব্যাপী গ্রাম বাংলার ঐহিত্যবাহী ঝাপান খেলা। মনষা পূজা উপলক্ষে হরিণাকুণ্ডু উপজেলা শহরের আদিবাসী পাড়ায় আয়োজন করা হয় এ প্রতিযোগিতার।

 

এ খেলাকে কেন্দ্র করে পুরো এলাকায় ছিল উৎসবের আমেজ। যা দেখতে সেখানে ভিড় করে শত শত মানুষ। প্রতিবছর এ ধরনের আয়োজন করার দাবি করেন দর্শকরা।

বুধবার (১৭ আগস্ট) এই ঝাপান খেলা শুরু হয়ে শেষ হয় বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) সন্ধ্যায়।

বাদ্যের তালে তালে হাড়ি থেকে বের হয়ে আসে ভয়ঙ্কর গোখরা সাপ। উপস্থিত শত শত দর্শকের করতালিতে একটুও বিচলিত করতে পারে না ফণা তোলা বিষধর সাপটিকে। মনিবের ইশারা ইঙ্গিত তাকে ঠিক বুঝিয়ে দিয়েছে, শুধু মানুষকে আনন্দ দেওয়ার খেলা নয় বরং আজ মর্যাদার লড়াই।

আর প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের মাঝে নিজেকে সেরা প্রমাণ করতে সাপুড়ে প্রদর্শন করে আকর্ষণীয় কসরত। ঢাক আর ঢোলের বাজনার তালে তালে নেচে গেয়ে দর্শকদের মন ভরিয়ে তোলেন। আর এ দুর্লভ দৃশ্য দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন দর্শনার্থীরা। মনষা পূজা উপলক্ষে হরিণাকুণ্ডু উপজেলা শহরের চিতলীপাড়ায় আয়োজন করা হয় ঐতিহ্যবাহী এই ঝাপান খেলার। দীর্ঘদিন পর এ ধরনের আয়োজন দেখতে পেয়ে খুশি দর্শকরা। তাই প্রতিবছর এ খেলার আয়োজন করার দাবি তাদের।

আদিবাসী পাড়ার কুলু মণ্ডল জানান, প্রতি বছরের মতো এবারও ঝাপান খেলা হয়েছে। মানুষকে আনন্দ দেওয়ার জন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে খেলা করেন সাপুড়েরা। ঐতিহ্যবাহী এ খেলা ধরে রাখতে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন তারা।

হরিশপুর গ্রামের সাপুড়ে শফিউদ্দীন জানান, প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের মাঝে আনন্দ দিতে গ্রাম বাংলার ঐহিত্যবাহী ঝাপান খেলা করে থাকি। আমরা সাপুড়ে সাপ খেলা দেখিয়ে পরিবার নিয়ে দু মুঠো ডাল ভাত খেয়ে থাকি।  

হরিণাকুণ্ডু পৌরসভা মেয়র ফারুক হোসেন জানান, এ ধরনের উৎসব শুধু খেলার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। নতুন প্রজন্মের মাঝে বাঙালি ঐতিহ্য তুলে ধরতেই এ আয়োজন।

হরিণাকুণ্ডু উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসাইন গ্রাম বাংলার ঐহিত্যবাহী ঝাপান খেলার সাধুবাদ জানিয়ে আগামীতে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

জানা যায়-দিনভর প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় হরিনাকুণ্ডু, শৈলকুপা, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়াসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা সাতটি সাপুড়ে দল। সবাইকে পেছনে ফেলে প্রথম হয় শৈলকুপার সাপুড়ে দল।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫১০২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০২২
আরএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।