ঝালকাঠি: ঝালকাঠিতে কমতে শুরু করেছে বন্যার পানি। বুধবার থেকে সুগন্ধা, বিষখালী, গাবখান ও বাসন্ডা নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তবে পানি কমলেও এখনও নিম্নাঞ্চলের কয়েকটি গ্রামের শতাধিক পরিবার পানিবন্দি রয়েছে। এছাড়া পানিতে তলিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বসতঘরের মেঝে, রাস্তাঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ফসলের ক্ষেত।
এদিকে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, এলাকায় এখন বিশুদ্ধ পানির অভাব রয়েছে। পানিবন্দি এলাকাগুলোতে দেখা দিয়েছে পানিবাহিত বিভিন্ন রোগ। শিশু থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সের মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন এসব রোগে। জ্বর, কাশি, নিউমোনিয়া ও চর্মরোগে আক্রান্ত অনেকেই চিকিৎসা নিয়েছেন সদর হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে।
রাজাপুর উপজেলার বাদুরতলা এলাকার মানিক হোসেন জানান, তার পরিবারের শিশুসহ তিনজন চর্মরোগ ও জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে। তাদের রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
ঝালকাঠি সদরের নতুন কলাবাগান এলাকার মাসুম হোসেন বলেন, আমি রিকশা চালিয়ে সংসার চালাই। তিন দিন ধরে জ্বরে ভুগছি। আমার পরিবারে আরও দু’জন কাশিতে আক্রান্ত।
এ ব্যাপারে ঝালকাঠির সিভিল সার্জন ডা. শিহাব উদ্দিন জানান, জলাবদ্ধতায় অনেক সময় পানিবাহিত রোগ হয়। এসব রোগে আক্রান্ত অনেকেই হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সিভিল সার্জন বন্যার্তদের ঘরের পাশে ও রাস্তায় জমে থাকা পানির মধ্যে না নামার পরামর্শ দিয়েছেন।
ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব হোসেন জানান, ১০ আগস্ট সকাল থেকে নদীর পানি বাড়তে শুরু করে। স্বাভাবিকের চেয়ে প্রথম পর্যায়ে ৩ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে। রবিবার রাত পর্যন্ত তা ৩০ সেন্টিমিটারে রূপ নেয়। সোমবার থেকে বৃষ্টি কম হওয়া এবং মঙ্গলবারে বৃষ্টি না হওয়ায় পানি কমতে শুরু করে। পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে আরও ২/৩দিন সময় লাগবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০২২
এনএইচআর