ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

এমপি-দুই এএসপির সামনে পেটানো দুই নেতাকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০২২
এমপি-দুই এএসপির সামনে পেটানো দুই নেতাকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ

বরিশাল: বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও অতিরিক্ত দুই পুলিশ সুপারের কথোপকথনের মধ্যেই লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আটক করে নিয়ে যাওয়া যুবলীগ নেতা মো. জসিম মোল্লাকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।  

সে সঙ্গে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাফিন খানকেও ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

 

মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন বরগুনা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মেহেদী হাছান। তিনি জানান, গতকাল বিকেলেই তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

তবে তারা দুজনই বর্তমানে ভয়ে বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ছাত্রলীগের সভাপতি পদবঞ্চিত নেতা মো. সবুজ মোল্লা। তিনি বলেন, জসিম মোল্লা সম্পর্কে তার ভাই এবং সে পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সহ-সভাপতি।

তিনি বলেন, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের পেটানোর আগে যখন গাড়ির গ্লাস ভাঙা নিয়ে কথা হচ্ছিল, তখন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম তারেক রহমান ও মহরম আলীর সঙ্গে স্থানীয় এমপি অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু কাকার পাশেই দাঁড়ানো ছিলেন জসিম মোল্লা। তিনি শুধু অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহরম আলীকে এমপির সঙ্গে আরও নমনীয়ভাবে কথা বলতে বলেন। একইসঙ্গে প্রয়োজনে মামলা দিয়ে প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতারের জন্যও বলেন। আর এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে যান মহরম আলী, তিনি ভাইয়ের দিকে তেড়ে আসেন এবং চিৎকার দিয়ে ওঠেন। সাথে সাথেই পোশাকধারী ও পোশাক ছাড়া পুলিশের লোকজন প্লাস্টিকের পাইপ, লাকড়ি (চলা) ও লাঠি দিয়ে তাকে পেটায়। পরে তাদের কাছ থেকে নাটকীয়ভাবে মহরম আলী ভাইকে ছাড়িয়ে এনে এমপির সামনেই হ্যান্ডকাফ পরিয়ে থানায় পাঠিয়ে দেয়। একইসময়ে কথা বলার অপরাধে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাফিন খানকেও আটক করে নিয়ে যায়। আর নেওয়ার সময়ও তাদের পেটানো হয়, থানায় নিয়েও পেটানো হয়। ছাড়ার পর তাদের হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়, তবে এখন তারা বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

থানায় নিয়ে পেটানোর ভিডিও না থাকলেও বাকি পেটানোর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে জানিয়ে মো. সবুজ মোল্লা বলেন, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কিংবা সদর সার্কেলের এএসপি না হয়েও মহরম আলী আমাদের ওপর যেভাবে হামলা চালিয়েছেন তা ভাষায় বলে প্রকাশ করা যায় না। তিনি ও তার গানম্যান সিভিল ড্রেসে লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়েছেন শুধু তার গাড়ির গ্লাস ভাঙার অপরাধে। কিন্তু যেভাবে পুলিশের ওই গাড়ির গ্লাস ভেঙেছে তাতে সামনে থেকে আঘাত না করলে ভাঙার কথা নয়। আর শিল্পকলার ওপরে আমরা ইট পাব কোথায়। যেখানে আমাদের শিল্পকলা থেকে বের হতে দেওয়া হয়নি, সেখানে আমাদের বিরুদ্ধে গাড়ি ভাঙার অভিযোগ ভিত্তিহীন। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১২১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০২২
এমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।