ঢাকা, সোমবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ মে ২০২৪, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

বৈধভাবে বিদেশ যেয়েও প্রতারিত হওয়া শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ দাবি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০২২
বৈধভাবে বিদেশ যেয়েও প্রতারিত হওয়া শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ দাবি

ঢাকা: কিরঘিস্তানে এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে বৈধভাবে যেয়ে প্রতারিত ও নির্যাতিত হয়ে ফেরত আসা অভিবাসী কর্মীদের ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে রাইটস যশোর ও রেফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি রিসার্চ ইউনিট (রামরু)।

মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে বৈধ পথে যেয়ে প্রতারিত ও নির্যাতিত অভিবাসী শ্রমিকদের নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন রাইটস যশোরের নির্বাহী পরিচালক বিনয় কৃষ্ণ মল্লিক।

এসময় রামরুর নির্বাহী পরিচালক ড. সিআর আবরারসহ বিদেশ ফেরত প্রতারিত শ্রমিকরা উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত বক্তব্যে বিনয় কৃষ্ণ মল্লিক বলেন, সাতজন অভিবাসী কর্মী (কিরগিস্থানে ৬ জন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে ১ জন) জীবিকার তাগিদে ২০২২ সালে নিবন্ধিত রিক্রুটি এজেন্সির মাধ্যমে বিএমইটি দ্বারা সত্যায়িত স্মার্ট কার্ড নিয়ে বৈধভাবে বিদেশ যান। এরপরও তারা দুর্ভাগ্যক্রমে সেখানে প্রতারণা এবং অমানবিক নির্যাতনের শিকার হন। আমরা তাদের ক্ষতিপূরণ দাবি করছি।

তিনি বলেন, বর্তমানে কিরঘিস্তানে আটক ১৪ জন বাংলাদেশিকে উদ্ধার করে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আপনাদের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সহযোগিতা কামনা করছি।

সংবাদ সম্মেলনে রামরুর নির্বাহী পরিচালক ড. সিআর আবরার বলেন, নির্যাতিত অভিবাসী শ্রমিকদের নিয়ে কথাবলার যেহেতু কোনো ফোরাম নেই, সেহেতু আমরা কথা বলছি। দেশে বর্তমানে আমরা বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে কথা বলছি। এতেই বোঝাযায় তারা কত কষ্ট করছেন। তাই তাদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। আমরা আশাকরি সরকার এই সমস্যাগুলো সমাধান করবেন। তা না হলে সংকট আরো ঘনীভূত হবে। এখানে আমরা অল্প কয়জনকে দেখছি, এরকম আরও শতশত লোক আছে, যারা বৈধ পথে যেয়ে সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। এজন্য সরকারকে দায়িত্ব নিতে হবে। এর সঙ্গে যদি সরকারি লোক জড়িত থাকে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে ঝিনাইদহের রুবেল বলেন, চলতি বছর দালাল ধরে বৈধ পথে ২৬ ফেব্রুয়ারি আমি দুবাই যাই। সেখানে যাওয়ার পর আমাকে কাজ দেওয়া হয়নি, একটি রুমে আটক করে রাখা হয়। কোনো খাওয়া দেওয়া হয়নি। কিছুদিন পর আমি বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা ৩ লাখ টাকা পাঠায়। এরপর আমি ফেরত আসি। আমার মোট ৬ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। আমি সরকারের মাধ্যমে সেই টাকা ফেরত এবং রিক্রুটিং এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই। আমার সঙ্গে যাওয়া জাহিদুর এখন নির্যাতন সহ্য করে দুবাইয়ে রয়েছেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০২২
এসএমএকে/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।