খুলনা: আটকে পড়া পাকিস্তানিদের সংগঠন এসপিজিআরসি খুলনার সভাপতি মুজিবর রহমানের (৬৫) জবাই করা লাশ বৃহস্পতিবার উদ্ধার করেছে খুলনা থানা পুলিশ।
হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে দুই যুবককেও আটক করা হয়েছে।
খুলনা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জিলহজ্জ উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, নিহত মুজিবর রহমান নগরীর হেলাতলা মোড়স্থ খুলনা হোটেলের দারোয়ান ছিলেন। বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে চারটার দিকে ওই হোটেলের চারতলার এক কক্ষের বাথরুমে ধ্বস্তাধস্তির শব্দ শুনে বোর্ডাররা এগিয়ে এলে আমানুর ও সুজন নামে দুই বোর্ডার পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
অন্য বোর্ডাররা তাদের ধরে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মুজিবরের জবাই করা লাশ উদ্ধার করে এবং আমানুর ও সুজনকে থানায় নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় নিহতের ছেলে জিয়াউর রহমান জিয়া একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
হোটেল সূত্র জানায়, বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে কুষ্টিয়া জেলার আমানতপুর গ্রামের আজিজুর রহমানের পুত্র আমানুর রহমান ও ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার জলিলপুর গ্রামের সুলতান সরদারের পুত্র সাইফুদ্দিন আহমেদ সুজন এসে খুলনা হোটেলের চতুর্থ তলার একটি ক ভাড়া নেন।
এসপিজিআরসি খুলনা শাখার সেক্রেটারি এমএ রশিদ বাংলানিউজকে জানান, নিহত মুজিবর রহমান এসপিজিআরসির খুলনা শাখার সভাপতি। তার ৫ ছেলে ও ৩ মেয়ে রয়েছে। নামাজে জানাজা শেষে তাকে বসুপাড়া কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এ হত্যাকাণ্ডের কারণ উদঘাটন ও খুনিদের শাস্তি দাবি করেন এমএ রশিদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১০